নতুন ফ্ল্যাটে চুরি, হতাশ করোনা পর্বে প্রাণপাত করা চিকিৎসক যোগীরাজ রায়

নতুন ফ্ল্যাটে চুরি, হতাশ করোনা পর্বে প্রাণপাত করা চিকিৎসক যোগীরাজ রায়

#কলকাতা: গত দু’ বছর নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রাণপাত করে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে করোনা পর্বে অসাধারণ কাজের জন্য বঙ্গভূষণ সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। আর সেই প্রখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ  চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ের ফ্ল্যাট থেকেই সদ্য কেনা বাথরুম সাজানোর সব ফিটিংস চুরি। দমদম নাগেরবাজার থানার অন্তর্গত তাঁর প্রফুল্লকাননের ফ্ল্যাট থেকে চুরি গেল পঞ্চাশ হাজার টাকার মূল্যবাণ বাথরুম সাজানোর সামগ্রী।

করোনার শুরুর সময়ই কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্মরত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগীরাজ রায়কে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আর তারপর একপ্রকার রোগীদের কাছে সাক্ষাৎ ঈশ্বর হয়ে উঠেছিলেন যোগীরাজ রায়। বর্তমানে তিনি শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কর্মরত।

কিছুদিন আগেই দমদম নাগেরবাজার থানা এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছিলেন চিকিৎসক যোগীরাজ রায়। ধীরে ধীরে সাজাচ্ছিলেন ফ্ল্যাট। কলেজ স্ট্রিট থেকে  নিজেই কিনে এনেছিলেন বাথরুম সাজানোর সামগ্রী। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই দেখেন, নতুন ফ্ল্যাট থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে সমস্ত বাথরুমের ফিটিংস। এর পরেই নাগের বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যোগীরাজ রায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

অনেক কষ্ট করে তিল তিল করে জমানো টাকায় এই সব জিনিস কেনার পরেই সব চুরি হওয়ায় ভেঙে পড়েন চিকিৎসক। ফেসবুকে সেই হতাশা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সকাল সকাল দেখি নতুন ফ্ল্যাটের জন্য রাখা বাথরুম ফিটিংসগুলি সব চুরি হয়ে গিয়েছে।  কলেজ স্ট্রিট থেকে বেছে বেছে আনা সাধের জিনিস। মনটা খুব খারাপ। থানার বাবুরা ঘুরে গেলেন।’

আর এর পরই তীব্র ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘মনে হচ্ছে কদিন সব ছেড়ে পালাই।’ যোগীরাজ রায়ের হতাশা ফুটে ওঠে তাঁর লেখায়, ‘যিনি চুরি করেছেন তিনি হয়তো জানেন না, যথেষ্ট লড়াই করেই ওগুলো কেনা। ফোকটের মাল নয়।’

যদিও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে যোগীরাজ রায় জানতে পেরেছেন, দমদম অঞ্চলে নতুন ফ্ল্যাটে দু’চার বার চুরি তেমন কিছু ব্যাপার নয়। সেখানকার মানুষের কাছে এ সব অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা।

Published by:Debamoy Ghosh

(Source: news18.com)