#হুগলি: বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ছেলে। তার জেরেই শুরু হয় পারিবারিক বিবাদ। ক্রমেই সেই বিবাদ ভয়াবহতার রূপ ধারণ করে। এতটাই ভয়াবহ হয় যে ছেলের হাতে খুন হতে হয় বাবাকে। সৎ মা গুরুতরভাবে আহত হয়। ধারালো অস্ত্রের দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে ছেলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পলাতক হলেও অবশেষে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে হুগলির জিরাটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জিরাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেই চলতি মাসের ১ তারিখ ভাড়া আসে চন্দকান্ত সাহা ও স্ত্রী অঞ্জনা সাহা। চন্দ্রকান্ত সাহার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যান বছর দশেক আগে। তার তিন চার বছর পরে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বিয়ে করেন চন্দ্রকান্ত। বাবার দ্বিতীয় বারের বিবাহিত স্ত্রী কে মা হিসেবে মেনে নিতে পারেনি অভিযুক্ত ছেলে নিলকান্ত সাহা।
মঙ্গলবার রাত্রি দশ টার সময় আভিযুক্ত নীলকান্ত আচমকাই বাড়িতে এসে চড়াও হয় বাবা ও সৎ মা এর উপর। হঠাৎ হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে বাবা ও মা এর শরীরে আঘাত করতে থাকে। আঘাতের পরিমান এতোটাই বেশি হয় যে হাসপাতালে আনার পর চন্দ্রকান্ত সাহা (বয়স ৬৫) কে আহম্মেদ পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করেন। ছুরির আঘাতে সৎ মা অঞ্জনা সাহার শ্বাসনালী কেটে যায়। ডাক্তার শ্বাস নালী থেকে পাই এর মাধ্যমে কৃত্তিম ভাবে নিশ্বাস এর ব্যবস্থা করে। পরে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাড়ির মালিক রামকৃষ্ণ সাহা জানান, তার মোবাইলের ব্যবসা। রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরে যাওয়ার সময় অশান্তি হতে দেখেন তিনি। তবে এইভাবে মা বাবাকে খুন করবে ছেলে, তা এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না বাড়ির মালিক। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দশটার পর দুজন আহত ব্যাক্তি কে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। প্রথম ব্যক্তি চন্দ্রকান্ত সহা কিছুক্ষণ বেঁচে থাকলেও পরে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসকরা।
অপর মহিলা অঞ্জনা সাহার অবস্থা খুবই গুরুতর। ছুরি চালানোর ফলে শ্বাসনালী কেটে যায় ওই মহিলার। ডাক্তাররা কৃত্তিম ভাবে নিশ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যবস্থা করে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মানতে পারেনি ছেলে। তার ফলেই এই ঘটনা। ধৃত নীলকান্ত সাহাকে বলাগড় স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিশ।
রাহী হালদার