দাপুটে বিচারপতির আড়ালে দক্ষ লেখক, বিদায়ী অনুষ্ঠানে খোঁজ অচেনা এন ভি রমানার

দাপুটে বিচারপতির আড়ালে দক্ষ লেখক, বিদায়ী অনুষ্ঠানে খোঁজ অচেনা এন ভি রমানার

নয়াদিল্লি: শুক্রবার ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানার (Chief Justice of India N.V. Ramana) বিদায়ী অনুষ্ঠান। সেখানে আচমকাই উঠল হাসির রোল। অনুষ্ঠানে অডিটোরিয়াম (auditorium) ভরে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী, বিচারপতিরা (legal fraternity)। হঠাৎ কী এমন কথা হল?

প্রধান বিচারপতির বিদায়ী অনুষ্ঠানে মজার মুহূর্ত

শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানার জন্য ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (Supreme Court Bar Association) পক্ষ থেকে। সেখানেই বক্তব্য রাখছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Solicitor General Tushar Mehta)। তিনি জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে এন ভি রমানা সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন যা এই অনুষ্ঠানের সুবাদে প্রকাশ্যে আনতে চান।

তুষার মেহতা বলে চলেন, ‘আইন ছাড়াও, মাননীয় বিচারপতির এক অন্যধরণের শখ আছে আর সেই শখ হল তেলুগু সাহিত্য সম্পর্কিত। এটা হয়তো কোনও গোপন তথ্য নয়। কিন্তু গোপন বিষয়টি হল মাননীয় বিচারপতি অবসর নেওয়ার পর তেলুগু ভাষায় একটি রোম্যান্টিক উপন্যাস লেখার কথা ভাবছেন।’ আর এই কথা শুনেই গোটা অডিটোরিয়াম ফেটে পড়ে হাসিতে।

এই পর্যন্ত বলেই থামেননি সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, এই কথা শুনেই নাকি তিনি তাঁর অনুসন্ধান বন্ধ রেখেছেন এবং আর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেননি।

এবার সরাসরি মাননীয় প্রধান বিচারপতির দিকেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তুষার মেহতা। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘অবসরের পর রোম্যান্টিক উপন্যাস লেখার জন্য কীসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেন মাননয়ী বিচারপতি?’ উত্তরে কেবল হাসি, হাত নেড়ে এন ভি রমানা বুঝিয়ে দিলেন যে তাঁর এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।

এরপর তুষার মেহতা জানান যে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা আদালতের কাজের বাইরে তেলুগু সাহিত্যচর্চায় সময় দেন। তিনি এও বলেন, ‘হয়তো বছর খানেক পর আমরা জানতে পারলাম যে একজন বিশিষ্ট তেলুগু কবি আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন।’

কিন্তু হাসিঠাট্টা এখানেই থামেনি। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখার সময়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঠিক আইবি রিপোর্টের মতোই এখানে আমি শ্রী তুষার মেহতার বক্তব্যে খানিক সংশোধন করতে চাইব। আমার রোম্যান্টিক উপন্যাস লেখা প্রসঙ্গে আপনার তথ্যটি সঠিক নয়।’ এই কথা শুনে ফের একবার হাসির রোল ওঠে দর্শকদের মধ্যে। মহামান্য বিচারপতিকেও কষ্ট করে হাসি চাপতে দেখা যায়।

তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো সাহিত্য প্রসঙ্গে কোনও বই লিখতে পারি। আমি আইনজীবী থাকাকালীন ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক ঘটনাবলী নিয়ে কোনও বই লিখতে পারি।’