#কলকাতা: বাঙালি মানেই মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ আর ভাত এই দুই পদেই জব্দ অধিকাংশ বাঙালি। মাছ-মাংস হোক বা নাই হোক কিছু মানুষ কিন্তু ভাত ছাড়া চলতেই পারেন না। বাঙালি বাড়িতে দুপুর মানেই যেন ভাত খাওয়ার সময়! এ সময়ে ভাত ছাড়া অন্য কোনও খাবার চিন্তাই করতে পারে না অনেকে। তবে একটা বিষয় খেয়াল করেছেন কি? ভাত খাওয়ার পরেই যেন দু-চোখ জুড়িয়ে আসে। সারা শরীরে ক্লান্তি যেন ডেকে আনে ঘুম। মনে হয় কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিই। যেন রাজ্যের সব প্রশান্তি নেমে আসবে!
প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর অল্প সময়ের ঘুমকে ভাত ঘুম বলা হয়। কিন্তু ভাত খেলেই কেন তন্দ্রাভাব দেখা দেয় আমাদের মধ্যে? ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। শরীরে প্রবেশের পর এই শর্করা গ্লুকোজে পরিণত হয়। গ্লুকোজের জন্য প্রয়োজন হয় ইনসুলিনের। শরীরে যখনই ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখনই প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান বাড়িয়ে দেয় মেলাটোনিন এবং সেরাটোনিনের পরিমাণ। এই দুই হরমোন বৃদ্ধির প্রভাবেই আমাদের ঘুম ঘুম ভাব দেখা দেয় শরীরজুড়ে।
তাই ভাত-ঘুম এড়াতে দুপুরের খাবারের পরিমাণ রাখতে হবে পরিমিত। খাদ্যতালিকায় যেন ৫০ শতাংশ সবজি, ২৫ শতাংশ প্রোটিন এবং ২৫ শতাংশ শর্করা থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। তালিকায় যত স্বাস্থ্যকর খাবার থাকবে, তত শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এতে ভাত খাওয়া সত্বেও কিন্তু ঘুম কম পাবে।
তবে এর পাশাপাশি দুপুরে ঘুম এড়াতে ভাতের পরিবর্তে রুটিও খেতে পারেন চাইলে। পাতে রাখতে পারেন সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাত। তাতে শরীর সুস্থ থাকবে। ঘুমও এড়ানো যাবে। আর কোনো টিপসেই যদি কাজ না হয় তবে ১৫ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিন।