মোট সম্পদ ১৫৫.৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে
ফোর্বস রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, আদানির সম্পদ বেড়েছে 5.5 বিলিয়ন ডলার। তাঁর মোট সম্পদ ১৫৫.৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। আর এরপরেই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে চলে আসেন গৌতম। তবে ব্লমবার্গ বিলেনিয়র ইন্ডেক্সে এখনও থার্ড পজিশনেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী। তবে গৌতমের উপর অর্থাৎ এক নম্বর জায়গা ধরে রেখেছেন এলন মাস্ক। টেসলার মালিকের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭৩.৫ বিলিয়ন ডলার। আদানির নীচে নেমে গিয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫৫.২ মার্কিন ডলার। তবে রিলায়েন্স চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এই তালিকায় ৯২.৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আট নম্বরে রয়েছেন।
কীভাবে আসছে আদানির কাছে এত টাকা-
আদানির সম্পদের বড় অংশ আদানি গ্রুপের পাবলিক স্টেক থেকে আসে। গত দুবছরে হঠাত করে রকেট গতিতে উত্থান ঘটে এই ব্যবসায়ীর। মার্চ 2022 স্টক এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পাওয়ার এবং আদানি ট্রান্সমিশনে তার 75% শেয়ার রয়েছে। এছাড়াও আদানি টোটাল গ্যাসের প্রায় 37%, আদানি বন্দর এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের 65% এবং আদানি গ্রিন এনার্জির 61% মালিক। আহমেদাবাদ থেকে পুরো ব্যবসা চালান আদানি। অনেকে বলেন, আদানির উত্থানের পিছনে বড় একটা ভূমিকা রিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ৬০০ শতাংশের উপরে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে আদানির। বলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এক নজরে উত্থান…
ব্লুমবার্গের মতে, আদানি ভারতের বৃহত্তম বন্দর অপারেটর, তাপ কয়লা উৎপাদনকারী এবং কয়লা ব্যবসায়ী। আদানির জন্ম গুজরাতে হয়। কলেজ ছাড়ার পরেই কিশোর বয়সে তিনি মুম্বাই চলে আসেন। যদিও পরে নিজের রাজ্যে ফিরে আসার আগে হীরা ব্যবসায় কাজ করেন। ভাইয়ের প্লাস্টিক ব্যবসার জন্য পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) আমদানির মাধ্যমে আদানি’র বিশ্বব্যাপী ব্যবসা শুরু হয়। এরপর ১৯৮৮ সালে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি আদানিকে। এরপর আদানি এন্টারপ্রাইজ ১৯৯৪ সালে গুজরাট সরকারের কাছ থেকে মুন্দ্রা বন্দরে একটি বন্দর সুবিধা স্থাপনের অনুমোদন পায়। এরপর একের পর এক সংস্থা তৈরি হয়। আর তা সফল ভাবে এগিয়ে চলে। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে চলেছে আদানি। তাজপুরে বিশাল বন্দর তৈরি করবে তাঁরা।