২০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার রাজ্যে! শিকড়ের সন্ধানে এনআইএ

২০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার রাজ্যে! শিকড়ের সন্ধানে এনআইএ

#কলকাতা: আবার কি এনআইএ ধাক্কা দিতে চলেছে রাজ্যে? ৯ই সেপ্টেম্বর কলকাতা বন্দর এলাকা থেকে ২০০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়। উদ্ধার করেছিল ডি আর আই। এই মাদক এসেছিল আফগানিস্থান থেকে। মোট পাঁচটি কনসাইনমেন্টে এসেছিল, তারমধ্যে রয়েছে মুম্বাই, গুজরাট, কলকাতা।

সূত্রের খবর ২০২১ সালে রাজ্যের নির্বাচনের আগে এই হেরোইনের বরাত পেয়েছিল আফগানিস্থানের তালিবানরা। এ পর্যন্ত জাতীয় তদন্ত সংস্থা তিন হাজার কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতের বিভিন্ন বন্দর থেকে।

মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে এই মামলায়। এই মামলায় রহমাতুল্লাহ, ইসিন্দর সিং,  জসবীর সিং ও একজন আফগান নাগরিককে শনাক্ত করা গিয়েছে। ওই আফগান নাগরিক নাজিবুল্লাহ খালিদ দিল্লির নেব সরাইতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদক লুকিয়ে রেখেছিল। সেখান থেকে ওষুধের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল ড্রাগ।

গতকাল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে যে,  কলকাতা বন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন। ওই মাদকচক্র উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকার বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকার শরিফুল ইসলাম মোল্লা নামে একজন ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আফগানিস্তান থেকে আনিয়েছিল।শরিফুল পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী।  তিনি এও দাবি করেন যেহেতু আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের কাজ এটা, সেহেতু এনআইএ(NIA) এটির তদন্ত ভার নিয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, এনসিবি মাদক নিয়ে মিথ্যে মামলা করে। যা মামলা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যে মামলা যদিও এই হেরোইন আফগানিস্থানের তালিবানদের কাছ থেকে এসেছিল।সেহেতু এই মাদকচক্রের সঙ্গে জঙ্গীযোগ রয়েছে বলে মনে করছে সুকান্ত।সেজন্য তিনি বললেন এনআইএ তদন্ত শুরু করেছে। অন্য রাজ্যে চক্রের লোকেদের গ্রেফতার  করছে। এ রাজ্য কেউ পার পাবে না।

তাহলে প্রশ্ন উঠছে, এরাজ্যের প্রভাবশালী নেতাদের কপালে কি কালো মেঘ ঘনিয়া আসছে?  সামান্য কাঠের মিস্ত্রি শরিফুলকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে, অভিযোগ। খবর, শরিফুলের ২০০ কোটি টাকা জোগাড়ের কোনও সমর্থ নেই।

Published by:Aryama Das

(Source: news18.com)