জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। একদিকে যখন চিন নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত তখন আর একবার চিনকে সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, চিনের সেনা যদি কোনও ভাবে তাইওয়ান আক্রমণ করে তবে মার্কিন সেনাবাহিনী তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে! তারা ওই দ্বীপরাষ্ট্রের হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাইওয়ানে যদি চিনের ফৌজ আক্রমণ করে তবে আমেরিকা কি তাইওয়ানের হয়ে লড়াই করবে? জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনও ধোঁয়াশা না রেখেই পরিষ্কার করে বলে দেন– হ্যাঁ। এ বছরের শুরুতেই জাপান থেকে চিনকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিন আরও একবার। বাইডেন জানিয়েছেন, চিন তাইওয়ানে আক্রমণ করলে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুই মহাশক্তিধর দেশের পরস্পরের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধং দেহি মনোভাবে স্বভাবতই কেঁপে উঠছে বিশ্ব।
এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, স্বশাসিত দ্বীপের জন্য মার্কিন নীতির কোনও বদল ঘটেনি। কিন্তু বাইডেনের এদিনের মন্তব্য থেকে কিছু ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ই প্রকাশিত হয়েছে বলে মনে করছে সকলে। তবে তাইওয়ান মার্কিন রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যকে স্বাগতই জানিয়েছে। তাইপেই জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে এবং তাদের তরফে আমেরিকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে চিন। তাদের মতে, বাইডেনের মন্তব্য স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে নেওয়া নীতির ক্ষেত্রে স্পষ্ট লঙ্ঘন। বাইডেন জানিয়েছেন, আমেরিকা এক চিন নীতির (ওয়ান চায়না পলিসি) প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে তাইপেইকে নয়, বেজিংকেই স্বীকৃতি দিতে চায়। তিনি বলেন, আমার কোনওভাবেই এগোচ্ছি না। এমনকি, তাদের স্বাধীনতাকেও আমরা উৎসাহিত করছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের সিদ্ধান্ত। অতএব, বাইডেনের মন্তব্যে কথা এবং কথার ফাঁক উভয়ই বর্তমান।
তবে দুই মহাশক্তিধর দেশের পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধং দেহি মনোভাবে স্বভাবতই কেঁপে উঠছে বিশ্ব। কেননা, এই মুহূর্তে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশ। তা নিয়ে এখনই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমীকরণ রচিত হয়ে গিয়েছে। এবার এখন যদি চিন-আমেরিকা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় তবে তা বিশ্ব-রাজনীতির পক্ষে যথেষ্ট সংকটের সূচনা করবে, সন্দেহ নেই।
(Source: zeenews.com)