নিজের মাতৃভাষা জানাটা আবশ্যক। তবে বলা হয় যে, মাতৃভাষার পাশাপাশি আরও একটি অথবা একাধিক ভাষা জেনে রাখাটাও সমান ভাবে জরুরি। পেশার ক্ষেত্রে তো বটেই! জীবনের নানা ক্ষেত্রেও তা সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়! এ-বার এটাই প্রমাণ করে দিলেন আমেরিকার এক ইউটিউবার। সম্প্রতি একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আসলে ইন্টারনেটে হামেশাই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ভাইরাল হয়। আর কোনওটা মজার, তো কোনওটা মন ছুঁয়ে যায়। আবার এমন কিছু কিছু ভিডিও আছে, যা বিতর্কের জন্ম দেয়। কিন্তু এই ভিডিও-তে কী এমন আছে, যা নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেল নেটমাধ্যমে?
আসলে অন্য ভাষায় কথা বলে যদি কেউ রেস্তোরাঁয় বিনামূল্যে খাবার পেয়ে যান, তার থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে! আর এমন ঘটনা তো মানুষ বারবার দেখতে পছন্দ করবেই! শাওমা নামে এক আমেরিকান ইউটিউবার এই অভিনব পন্থা খুঁজে বার করেছেন। আর নিজের ভাষা দক্ষতার এমন ফায়দা বোধহয় আগে কেউ তোলেননি!
ঠিক কী ঘটেছিল? শাওমা নিউ জার্সির কিছু ভারতীয় রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়ে তিনি তেলুগু ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করতে থাকেন। যদিও সেই ভাষায় তেমন দক্ষতা তাঁর ছিল না। তবে শাওমার ভাঙা-ভাঙা তেলুগু মন জিতে নেয় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, ‘পরিবার ডিলাইটস’ নামে এক ভারতীয় রেস্তোরাঁয় গিয়ে ওই ইউটিউবার ভাঙা-ভাঙা তেলুগুতে ইরানি চায়ের অর্ডার দিচ্ছেন। আর তা দেখে মজা পেয়েছেন আশপাশে উপস্থিত অতিথিরা। এমনকী শাওমার ভাষা দক্ষতার প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ হয়েছেন তাঁরা। আর সেই চায়ের জন্য তাঁর থেকে নেওয়া হয়নি একটা টাকাও। এর পর ‘হায়দরাবাদ হাউজ’ নামে একটি রেস্তোরাঁতেও গিয়েছেন শাওমা। সেখানেও তিনি ভাষা দক্ষতার জন্য বিনামূল্যে খাবার পেয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, আরও নানা ভারতীয় রেস্তোরাঁয় গিয়েছেন ওই ইউটিউবার। ‘সপ্তগিরি টেস্ট অফ ইন্ডিয়া’ নামের এক রেস্তোরাঁতে গিয়ে উত্তাপম এবং আমের লস্যি অর্ডার করেছিলেন। সেখানেও ওই খাবারের জন্য তাঁর কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। এর পরে শাওমার গন্তব্য ছিল ‘গোলকোন্ডা চিমনি’। সেখানেও শাওমার তেলুগু শুনে মুগ্ধ হয়েছেন রেস্তোরাঁ কর্মীরা। তাঁরা শাওমাকে প্রথমে ডিসকাউন্ট এবং পরে বিনামূল্যে খাবার দিয়েছেন।
দিনের শেষে শাওমা জানিয়েছেন, গোটা দিন কোথাও বিনা পয়সায়, তো কোথাও ডিসকাউন্টে পেট পুরে খেয়েছেন তিনি! এমনকী টিপস দেওয়ার চেষ্টা করলে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ সেটাও নেননি!