কোর্টে গিয়ে পার্থর মাথায় ঠেকালেন পুজোর ফুল, ভক্তিভরে করলেন দাদার মঙ্গল কামনাও

কোর্টে গিয়ে পার্থর মাথায় ঠেকালেন পুজোর ফুল, ভক্তিভরে করলেন দাদার মঙ্গল কামনাও

#সৌরভ তিওয়ারি, কলকাতা: কথাতেই আছে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’৷ তিনিও বিশ্বাস করেন, তাঁর ‘দাদা’ নির্দোষ৷ যে অবস্থায় দাদা রয়েছেন, তা নিছকই খারাপ সময়৷ এই দুর্যোগের মেঘ কাটবেই৷ ‘দাদা’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তবে ‘তিনি’ অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক৷

মহারাষ্ট্রের শনি সিগ্নাপুর থেকে পুজো দিয়ে আনা ফুল নিজেই কোর্টে গিয়ে পার্থের মাথায় ঠেকালেন দলের এই কর্মী। নাম প্রকাশ্যে আনতে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান উত্তরে ‘দাদা’ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। এই অবস্থা দ্রুত কেটে যাক চান তিনি৷

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা যে ক্রমেই বেগতিক হচ্ছে সে কথা বলাই বাহল্য৷ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই, এ কথা প্রমাণে গ্রেফতারের পর থেকেই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা প্রমাণে ইডি নিজেদের চার্জশিটে যে যে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেছে, তাতে অর্পিতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা কঠিন হতে পারে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে৷ ১৫২ পাতার চার্জশিটে একাধিক প্রমাণ দিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠ যোগ প্রমাণের দাবি করেছে ইডি৷ তার মধ্যে অন্যতম হল দু’ জনের একসঙ্গে ব্যাঙ্কক, গোয়া ঘুরতে যাওয়ার প্রমাণ৷ ইডি চার্জশিটে আরও দাবি করেছে, অর্পিতার ৩১টি এলআইসি পলিসির নমিনি ছিলেন পার্থই৷ এ সব বাদ দিয়ে পার্থ- অর্পিতার নামে একাধিক যৌথ সম্পত্তির খতিয়ানও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি৷

এখানেই শেষ নয়৷ গুরুতর অভিযোগ করে বলা হয়েছে, মোটা পরিমাণ টাকা রাখার জন্য পার্থকে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিতেন অর্পিতা৷ ইডি আরও দাবি করেছে, তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং বিপুল সোনার গয়নার মালিকও পার্থ৷ চার্জশিটে উল্লেখ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় মা হতে চেয়েছিলেন৷ আর তার জন্য দত্তক নিতেও তিনি রাজি হয়েছিলেন৷ সেই বিষয়েও ইডির সন্দেহ বাড়ে৷ তার পর ইডির দাবি, যে সমস্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে একটি নথি উদ্ধার করে ইডি৷ সেটিই নো অবজেকশন সার্টিফিকেট৷ অর্থাৎ, অর্পিতার মা হওয়ার বিষয়ে সায় দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সেই কারণেই সন্দেহ বাড়ে৷ আইনজীবীদের মতে, কোনও মহিলা যদি দত্তক নিতে চান, তা হলে তাঁর কোনও রকম নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার পড়ে না৷ একমাত্র যদি কোনও মহিলা বৈবাহিক বন্ধনে থাকেন, তা হলেই তাঁর স্বামীর নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার পড়ে৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কী বান্ধবীর বাইরেও নতুন কোনও সম্পর্ক ছিল পার্থ ও অর্পিতার, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ এই অবস্থায় পার্থর ভাই-এর দেওয়া এই ফুলে কতটা হাল ফেরে দাদার সেটাই এখন দেখার৷

Published by:Rachana Majumder

(Source: news18.com)