লিক্যুইড ইটিএফ কী? এতে কেমন ফায়দা পাবেন বিনিয়োগকারী? রইল খুঁটিনাটি!

লিক্যুইড ইটিএফ কী? এতে কেমন ফায়দা পাবেন বিনিয়োগকারী? রইল খুঁটিনাটি!

#নয়াদিল্লি: ভারতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ব্যবসায়িক পুঁজি বা ইমার্জেন্সি ফান্ড হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রাখে। এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ওই টাকার উপর খুব কম সুদ প্রদান করে, যার কারণে ওই টাকা থেকে অতিরিক্ত আয় সম্ভব হয় না। এই ক্ষেত্রে লিক্যুইড ফান্ড বা লিক্যুইড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ তুলনামূলক ভাবে লাভজনক হতে পারে।
ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে। এই কারণে লিক্যুইড এক্সচঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত বিকল্প হতে পারে। ইটিএফ বিনিয়োগে কোনও ঝুঁকি ছাড়াই ব্যবসায়িক পুঁজি বা ইমার্জেন্সি ফান্ডের জন্য জমা টাকা ভাল রিটার্ন পাওয়া যাবে।

কীভাবে ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করবেন?
আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল খুব কম পুঁজিতে লিক্যুইড ইটিএফ ফান্ডে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয় গ্রাহকদের। আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল অর্জিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করবে এবং পরিচালনা খরচ হিসেবে মোট লাভের মাত্র ০.২৫ শতাংশ টাকা চার্জ করা হবে। যদি অন্যান্য বিকল্প তুলনা করে দেখা যায়, তবে ডিএসপি নিফটি লিক্যুইড ইটিএফ-এর চার্জ ০.৬৪ শতাংশ এবং নিপ্পন ইন্ডিয়া ইটিএফ লিক্যুইড বিইএস-এর খরচ ০.৬৯ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খুচরো বিনিয়োগকারীদের ইক্যুইটি শেয়ার বিক্রি করার সময় সমান অঙ্কের টাকা দিয়ে লিক্যুইড ইটিএফ কেনা উচিত। যদি কোনও ব্যক্তি ইক্যুইটি শেয়ার ক্রয় করতে চান, তবে ব্রোকারের মাধ্যমে লিক্যুইড ইটিএফ-কে মার্জিন মানি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

রিটার্নের ক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ কেমন?
লিক্যুইড ইটিএফ থেকে পাওয়া আয় তুলনামূলক ভাবে বেশি স্থিতিশীল। এর কারণ হল স্বল্প-মেয়াদী ডেট সিকিউরিটিগুলি দীর্ঘমেয়াদী সিকিউরিটিজের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এ-ছাড়া, বিনিয়োগকারী নিজের প্রয়োজনে যে কোনও সময় স্পট মার্কেটে নিজের ভাগের ইউনিট বিক্রি করে দিতে পারেন। ইটিএফ ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনও সিকিউরিটিজ ট্রানজ্যাকশন ট্যাক্স (এসটিটি) প্রযোজ্য হয় না। এই কারণে অল্প সময়ের জন্য টাকা রেখে যাঁরা তুলনামূলক ভালো রিটার্ন আয় করতে চান, তাঁদের জন্য ইটিএফ একটি দুর্দান্ত বিকল্প।

(Feed Source: news18.com)