ভারতে লস্করের সংগঠন বিস্তারের অভিযোগ, বিলাল দুরানির নামে ব্লু কর্নার নোটিস জারি ইন্টারপোলের

ভারতে লস্করের সংগঠন বিস্তারের অভিযোগ, বিলাল দুরানির নামে ব্লু কর্নার নোটিস জারি ইন্টারপোলের

আবির দত্ত, কলকাতা: পাকিস্তানে(pakistan) বসে ভারতে লস্কর-ই-তৈবার  (lashkar-i-taiba) সংগঠন বিস্তারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। লস্কর নেতা বিলাল দুরানির (bilal durani) নামে ব্লু কর্নার নোটিস (blue corner notice) জারি করল ইন্টারপোল (interpol)। ২০২০ সালে উত্তর ২৪ পরগনার (north 24 parganas) বাদুড়িয়া থেকে  লস্কর জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিল তানিয়া পারভিন। সেই মামলাতেই উঠে আসে পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম শীর্ষ নেতা বিলাল দুরানির নাম।

কী জানা গেল?
যে মামলায় তানিয়া পারভিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এখনও তার তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সূত্রে জানা যায়, বিলাল পাকিস্তানের লাহোরে রয়েছে। এতেই শেষ নয়। সেখান থেকেই ভারতে লস্করের নানা ধরনের কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করছে সে, এমনও অভিযোগ ওঠে। লস্করের ওই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করতে চেয়ে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে আবেদন জানিয়েছিল NIA। ইন্টারপোলেরও দ্বারস্থ হয় তারা। সেই নোটিসই জারি হয়েছে এবার।

তানিয়া পারভিন পর্ব… 
২০২০ সালের মার্চে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে গ্রেফতার হয় তানিয়া। তার বিরুদ্ধে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাঁদের ফাঁদে ফেলে গোপন তথ্য জেনে নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ ছিল। তার সঙ্গে পাক জঙ্গিদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করে এসটিএফ। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে পাকিস্তানে লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তানিয়া, অভিযোগ ছিল এমনও। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালতে ৭৫০ পাতার চার্জশিট জমা দেয় এনআইএ। তাতে দাবি করা হয়, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত তানিয়া। তার বিরুদ্ধে লস্করের হয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো, লস্কর জঙ্গিদের সাহায্য করা, কাশ্মীরের লস্কর জঙ্গি আলতাফ আহমেদের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া পাকিস্তান, বাংলাদেশ, রাশিয়ার জঙ্গিদের সঙ্গেও তানিয়ার যোগাযোগ ছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল। তরুণীর সূত্র ধরে একাধিক ধরপাকড় চলে। যেমন ২০২০ সালের নভেম্বরে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সন্দেহে কর্নাটক থেকে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সূত্রের খবর, তানিয়া পরভিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত সৈয়দ ইদ্রিস নবি সাব ওরফে মুন্নার। যোগাযোগ ছিল পাক জঙ্গিদের সঙ্গেও। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই এনআইএ- কলকাতা তাকে শাখা জালে তুলেছিল বলে খবর। কর্নাটকের সিরসি এলাকায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মুন্না নামে সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। এনআইএ সূত্রে খবর, তানিয়া পারভিনকে গ্রেফতারের পর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর মোবাইল ফোন। সেই মোবাইল থেকেই উঠে আসে ইদ্রিস নবি ওরফে মুন্নার নাম!
সেই ঘটনাতেই শোনা গেল বিলাল দুরানির নাম।

(Feed Source: abplive.com)