#কলকাতা: যাঁরা প্রতিদিন একই কাজ করতে করতে অধৈর্য হয়ে পড়েছেন এবং নতুন কোনও কাজ শুরু করার চিন্তা করছেন, তাঁদের জন্য রয়েছে একটি চমৎকার বিজনেস আইডিয়া। এই ব্যবসার মাধ্যমে পুরনো কাজের সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত আয় করাও সম্ভব। অর্থাৎ কেউ চাকরি করলেও তার পাশাপাশি এই ব্যবসা শুরু করে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ব্যবসার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ব্যবসা শুরু করার জন্য বেশি টাকা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। এই ব্যবসা ২৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা দিয়েই শুরু করা যাবে।
এক্ষেত্রে সবথেকে প্রয়োজনীয় বিষয় হল, এই ব্যবসার জন্য সরকারের থেকে ৫০ শতাংশ সাবসিডি পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসায় প্রতি মাসে লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। খুবই লাভজনক এই ব্যবসাটি হল মুক্তোর ব্যবসা। বর্তমানে এই ব্যবসা তেজ গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ব্যবসা করে অনেকেই মোটা টাকা উপার্জন করে চলেছেন। এই ব্যবসা শুরু করে যে কেউ নিজেদের ভাগ্য মুক্তোর মতো চমকাতে পারেন।
এই ব্যবসায় প্রয়োজনীয় উপকরণ –
মুক্তোর ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি জলাশয়ের প্রয়োজন। যেখানে মুক্তো উৎপাদন করা হবে। এই ব্যবসার জন্য প্রথমে ট্রেনিং নেওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। এই ব্যবসার জন্য মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের প্রয়োজন হয়। এর জন্য একটি জলাশয়ের প্রয়োজন হয়, যা নিজেই তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। আবার সরকারের সাহায্যেও তৈরি করা যেতে পারে। সরকার এর জন্য ৫০ শতাংশ সাবসিডি দিয়ে থাকে। এরপর মুক্তো উৎপাদন করার জন্য সিপের প্রয়োজন হয়। এটি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু দক্ষিণ ভারত এবং বিহারের দ্বারভাঙ্গাতে ভাল কোয়ালিটির সিপ পাওয়া যায়।। এই ব্যবসার জন্য ট্রেনিং নেওয়া যেতে পারে মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে।
মুক্তো চাষ করার উপায় –
এর জন্য সবার প্রথমে সেই সিপ একটি জালে বেঁধে ১০-১৫ দিনের জন্য জলাশয়ে রেখে দিতে হয়। এরপর সেটি বাইরে বের করে তার সার্জারি করতে হয়। এই সার্জারির অর্থ হল সেই সিপ খুলে, তার ভেতরে একটি পার্টিকেল দিতে হয়। এটি পরবর্তীকালে সেই সিপের ভিতরে লেয়ারের তৈরি করে যা ভবিষ্যতে মুক্তো উৎপাদন করে।
উপার্জন –
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে প্রায় ৫০০ সিপের প্রয়োজন হয়। এর জন্য ২৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন। সেই সিপ তৈরি হয়ে গেলে তা থেকে মুক্তো বের হয়। সেই এক একটি মুক্তো প্রায় ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। যদি সেই মুক্তোর কোয়ালিটি ভাল হয় তাহলে সেটি ২০০ টাকা এবং তার বেশি দামেও বিক্রি করা সম্ভব। অর্থাৎ কেউ যদি ২৫,০০০ টাকার সিপ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বেশ কিছু পরিমাণে সিপ নষ্ট হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও ৫০ শতাংশের বেশি সিপ সুরক্ষিত থাকলেও, তার থেকে ৩০ লাখ টাকা খুব সহজেই আয় করা সম্ভব।
(Feed Source: news18.com)