৩০০০ টাকা বেতনের চাকরিও করেছেন, স্বাবলম্বী না হতে পেরে আক্ষেপ অমিতাভ-কন্যা শ্বেতার

৩০০০ টাকা বেতনের চাকরিও করেছেন, স্বাবলম্বী না হতে পেরে আক্ষেপ অমিতাভ-কন্যা শ্বেতার

মুম্বই: বলিউডের ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) তাঁর বাবা। মা জয়া বচ্চনও (Jaya Bachchan) বিগত জমানার ডাকসাইটে অভিনেত্রী। অভিজাত এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা। বিয়েও হয় ব্যবসায়ী পরিবারে। কিন্তু নিজের স্বাবলম্বী হতে না পারা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা বচ্চনকে (Shweta Bachchan)। তা নিয়ে বরাবর অকপটও তিনি। এ বার জীবনের বিশেষ অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন শ্বেতা (Bollywood)।

মেয়েদের স্বাবলম্বী করে তোলার পক্ষে শ্বেতা বচ্চন

মেয়ে নব্যা নন্দার (Navya Nanda) চ্যাট শো-তে একসঙ্গে এসেছিলেন জয়া এবং শ্বেতা। সেখানে শ্বেতা জানান, তখন সবে বিয়ে হয়েছে তাঁর। মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে সংসার পেতেছেন।  কিন্তু নিজের খরচ চালানোরও সামর্থ্য ছিল না তাঁর। আবার স্বামী নিখিল নন্দার কাছে হাত পাততেও পারতেন না।

Reels

তাই সেই সময় শ্বেতা দিল্লির একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি নেন। মাসে ৩ হাজার টাকার বেতনের ওই চাকরিই সেই সময় তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগায় বলে জানিয়েছেন শ্বেতা।

স্বাবলম্বী হতে না পারা নিয়ে মা জয়াকেই কার্যত দায়ী করেন শ্বেতা। তিনি জানান, ছোট্ট বয়স থেকে মেয়েদের স্বাবলম্বী হতে শেখানো উচিত মা-বাবার। কিন্তু জয়া কখনও তাঁকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন হতে শেখাননি। তার জেরে কলেজে পড়ার সময় ভাই অভিষেক বচ্চনের থেকেো হাত পেতে টাকা নিতে হয়েছে তাঁকে। সচেতনতার অভাবেই টাকা-পয়সার নিয়ে বরাবরই তিনি উদাসীন বলেও দাবি করেন শ্বেতা।

৩০০০ টাকা বেতনের চাকরি করেছেন অমিতাভ-কন্যা!

তবে জীবনের প্রথম দিকে কেরিয়ার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে বিশেষ মাথা না ঘামালেও, ৪৮ বছর বয়সে স্বাধীন হতে শিখে গিয়েছেন শ্বেতা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন তিনি। নিজের ব্য়বসাও রয়েছে। তবে হিসেবের ব্যাপারে তিনি এখনও কাঁচা, মেয়ে নব্যাই সব দেখেন বলেও জানিয়েছেন শ্বেতা।

অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী না হতে পারা, টাকা-পয়সার জন্য় অন্যের কাছে হাত পাততে হওয়ায়, এর আগেও আক্ষেপ করতে দেখা যায় শ্বেতাকে। বিশেষ করে মেয়েদের ছোট থেকে স্বাবলম্বী হতে শেখানো প্রয়োজন বলে মত তাঁর। তাই নিজে যে ভুল করেছেন, নিজের মেয়েকে তার পুনরাবৃত্তি করতে দিতে চান না তিনি।

(Feed Source: abplive.com)