কম সময়ে বড়লোক হতে চান? মেনে চলুন এই ৫ টা টিপস, বিশেষজ্ঞদের দাবি, টাকা আসবেই

কম সময়ে বড়লোক হতে চান? মেনে চলুন এই ৫ টা টিপস, বিশেষজ্ঞদের দাবি, টাকা আসবেই

প্রায় সকলেই নিজেদের জীবনে কিছু করে দেখাতে চান এবং ধনী হতে চান। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, একজন গরিব ব্যক্তি অথবা কম টাকা উপার্জন করছেন এমন ব্যক্তি কখনও ধনী হতে পারবেন না। লটারি পেয়ে গেলে একজন গরিব ব্যক্তি রাতারাতি ধনী হয়ে যান ঠিক কথা। কিন্তু সেটি হল ব্যতিক্রমী বিষয়। এই উপায় ছাড়াও একজন গরিব ব্যক্তি ধনী হতে পারেন। ধনী হওয়ার জন্য নিজেদের কয়েকটি স্বভাবের পরিবর্তন করা দরকার। এমনই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা মেনে চললে খুব সহজেই ধনী হওয়া সম্ভব। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি উপায়।

উপার্জনের থেকে খরচ কমাতে হবে –

ধনী হওয়ার জন্য প্রথমেই নিজেদের খরচ কমাতে হবে। ধরা যাক কেউ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করেন এবং প্রতি মাসে তাঁর খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। তাহলে তাঁকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা ধার করতে হবে। কিন্তু তিনি যদি প্রতি মাসে তাঁর খরচ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন, তাহলে তিনি অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। সেই টাকা দিয়েই ভবিষ্যতে ধনী হওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হবে।

এমার্জেন্সি ফান্ড –

ধনী হওয়ার জন্য নিজেদের একটি এমার্জেন্সি ফান্ড গড়ে তুলতে হবে। জীবনে যে কোনও সময় আপৎকালীন পরিস্থিতি চলে আসতে পারে। সেই সময় অতিরিক্ত মাত্রায় খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য আগে থেকেই প্ল্যান করে এমার্জেন্সি ফান্ড গড়ে তুলতে হবে। এর ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতির সময় সেই ফান্ডের টাকা ব্যবহার করা সম্ভব। এতে বাড়তি খরচ হবে না, আর্থিক স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ –

প্রথম এবং দ্বিতীয় নিয়ম পালন করার পর বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে। এর জন্য প্রথমেই সঞ্চয় করা প্রয়োজন এবং সেই টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এমার্জেন্সি ফান্ড গড়ে তোলার পর কিছু টাকা সঞ্চয় করে সেগুলো বিনিয়োগ করতে হবে বিভিন্ন ফান্ডে। মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিট এবং অন্য যে কোনও ফান্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ করলে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। ২০ বছর থেকে এই ধরনের বিনিয়োগ শুরু করলে ৩০ বছরের মধ্যেই মোটা টাকার ফান্ড গড়ে তোলা সম্ভব।

উপার্জনের রাস্তা –

জন্ম থেকেই এক জন মানুষের এক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দক্ষতা থাকে। সেই সকল দক্ষতার সঠিক প্রয়োগ করে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করা সম্ভব। ভারতে বেশিরভাগ ব্যক্তি নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করেন না। অনেকেই এমন ফিল্ডে কাজ করেন, যে কাজ তাঁদের বিন্দুমাত্র পছন্দ নয়। সেই সমস্ত ফিল্ডে বেশি টাকা উপার্জনের জন্য তাঁরা সেই সকল কাজ বেছে নেন। অর্থাৎ নিজেদের অপছন্দের কাজ করে, তাঁরা অন্য কাজে সময় নষ্ট করেন। কিন্তু নিজেদের প্যাশন এবং পছন্দের কাজ করে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এই বিষয়ে দরকার হলে কেরায়র কনসালটেন্টের পরামর্শ নিতে হবে, নিজে থেকে স্বভাবজাত দক্ষতা প্রয়োগের পথ খুঁজে না পেলে এক্ষেত্রে তাঁদের সাহায্য উপকারে আসবে। হয় সেই বিষয়ে পুরোপুরি মনোনিবেশ করা যেতে পারে, নয় তো ফ্রিলান্স হিসাবেও বেছে নেওয়া যায় দক্ষতার প্রয়োগের ক্ষেত্রটিকে। এর ফলে সেই সকল অতিরিক্ত টাকা সঞ্চয় করে মোটা টাকা জমিয়ে ফেলা সম্ভব।

বিনিয়োগ থেকে আয় –

ওপরের চারটি নিয়ম অনুসরণ করার পর এই নিয়মটি মেনে চললে ধনী হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে সেই সকল সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, যে সকল সম্পত্তির থেকে উপার্জন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে যাঁরা চাকরি অথবা ব্যবসা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সেই সকল সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি দোকান অথবা বাড়ি কিনে তা ভাড়া দিলে তার থেকে উপার্জন করা সম্ভব। সেই সম্পত্তি থেকে প্রতি মাসে ভাড়া পাওয়া যাবে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের একটি সম্পত্তিও হয়ে থাকবে।

খুব কম বয়স থেকেই এই পাঁচটি নিয়ম অনুসরণ করলে অবসরের আগেই খুব সহজেই ধনী হওয়া সম্ভব। এর ফলে বাকি জীবন খুব ভাল ভাবে কাটিয়ে দেওয়া যাবে।

(Feed Source: news18.com)