মোঃ আব্দুল আউয়াল মন্ডল, নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামের চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিসংতার একটি মামলায় মূল আসামীর পরিবর্তে হাজিরা দিতে গিয়ে পিতা-পুত্র গ্রেফতার হয়েছেন।
পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেফতার পিতা এক ছেলের পরিবর্তে ও পুত্র তার আরেক বড় ভাইয়ের পরিবর্তে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ভুয়া হাজিরা দেওয়ার অভিযোগে তাদের আইনজীবীকেও কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকেলে নাটোরের ৪ নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে। রাতে আদালতের পেশকার রাজু আহম্মেদ সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার দু’জন হলেন উপজেলার গাড়ফা মৎস্যজীবীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাবেদ আলী (৫৬) ও তার ছেলে মুজাহিদ (২৫)। এ ছাড়া জাবেদ আলীর অপর দুই ছেলে জাকারিয়া (৩৫) ও তাইজুলের (২৫) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আদালত সুত্রে জানা যায়, সোমবার নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাংচুরের একটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী মামলার ২৭ জন আসামির মধ্যে ২০ জনের হাজিরা দেন। আদালতে হাজিরার পর জাবেদ আলী ও মুজাহিদ নামের এমন দুই ব্যক্তিকে কাঠগড়ায় পাওয়া যায়, যারা মামলার আসামি না। তখন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সাঈদ তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জাবেদ আলী তার ছেলে তাইজুলের পরিবর্তে এবং মুজাহিদ তার বড় ভাই জাকারিয়ার পরিবর্তে হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে বিচারক ভুয়া আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন এবং তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে হাজিরা দিতে না আসা দুই ভাই তাইজুল ও জাকারিয়ার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আখতার হোসেন বলেন, মামলার আসামি সংখ্যা অনেক। অনিচ্ছাকৃত ভাবে এমন ভূল হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ পেলে এ বিষয়ে আদালতে জবাব দেবেন বলে তিনি জানান।
সান নিউজ/এনকে