আসছে আর একটি অতিমারী? ফের বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে নতুন এই ভাইরাস…

আসছে আর একটি অতিমারী? ফের বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে নতুন এই ভাইরাস…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবার করোনা! না, ঠিক বলা হল না। ঠিক কোভিড নয়, একে বলা হচ্ছে নতুন এক ধরনের কোভিড-লাইক ভাইরাসের সংক্রমণ। আগামী দিনে যার সংক্রমণের জেরে মারা যেত বসেছে মানুষ ও গবাদি পশু। এটি বাহিত হবে বাদুড়দের দ্বারা। এটা দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ চিনে। চিন ও অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী ইউনান প্রভিন্স থেকে ১৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এ অঞ্চলটি লাওস ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী। বিজ্ঞানীরা অন্তত আরও পাঁচটি এই ধরনের মারণ ভাইরাসের খোঁজ পেয়েছেন, তা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার বিজ্ঞানীরা নতুন যে ভাইরাসটির কথা উল্লেখ করছেন সেটা সার্স-কোভ-২ এবং সার্স ভাইরাসের খুব কাছাকাছি। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যাবিদ এবং ভাইরোলজিস্ট প্রফেসর এডি হোমস জানিয়েছেন, সার্স কোভ-২-র ধাঁচের এই ভাইরাসটি এখনও চিনের কিছু কিছু প্রদেশে বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। আর তারই হাত ধরে নতুন একটা অতিমারী বা মহামারী ছড়ানোরও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

কিছু দিন আগেই ‘হু’-র নতুন হুঁশিয়ারি এসেছে। জানা গিয়েছিল, আসছে আরও বেশ কিছু মহামারী বা অতিমারী। ডিজিজ-এক্স নামের এক রোগের কথা উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ‘হু’ সূত্রে খবর, ৩০০-রও বেশি গবেষক ইতিমধ্যেই ২৫টিরও বেশি ভাইরাস এবং ব্যাকটিরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন। যাদের মধ্যে থেকে কোনও কোনওটির ব্যাপক সংক্রমণের জেরে বিশ্বে ফের মহামারী/অতিমারী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন তাঁরা। অজানা এই রোগকে ‘ডিজিজ-এক্স’ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের কথায়, এটি আর একটি আন্তর্জাতিক মহামারীর কারণ হতে পারে। তাই এটিকে ভাইরাসের তালিকায় যুক্ত করেছে তারা। সাম্প্রতিক অতীতে আবিষ্কৃত ভাইরাসের এই তালিকায় রয়েছে– কোভিড-১৯, ইবোলা ভাইরাস, মারবার্গ ভাইরাসঘটিত রোগ, লাস্সা ভাইরাস, মার্স এবং সার্স, নিপা, জিকা। এগুলির সঙ্গেই এবার যুক্ত হল ‘ডিজিজ এক্স’ নামটি।

‘ডিজিজ-এক্স’ জেনেটিক রোগ হতে পারে বলেই দাবি হু-র। সেক্ষেত্রে করোনার মতো এই রোগটিও ছোঁয়াচে হতে পারে। মানুষ থেকে অন্য প্রাণী বা কোনও প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে বা প্রাণী থেকে প্রাণীর মধ্যেএবং পরবর্তীকালে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগ। তবে রোগটির নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ প্রকট হয় না। আর সেটা না হওয়া পর্যন্ত এখনই এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার বা চিকিৎসা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে ‘হু’। তেমন ঘটলে আবার একটি মহামারীর মুখে পড়তে পারে বিশ্ব এবং সেই মহামারীতে সংক্রমণ রুখতে ফের নতুন করে লকডাউন হতে পারে বিশ্ব জুড়ে।

(Feed Source: zeenews.com)