ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে হাতে এল যুগান্তকারী ওষুধ, সাহায্য করবে ওজন কমাতেও

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে হাতে এল যুগান্তকারী ওষুধ, সাহায্য করবে ওজন কমাতেও

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্লাড সুগার একালের এক সংকট। ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী। রোগটি নিয়ে নিয়মিত গবেষণাও চলে। সম্প্রতি এক নতুন ধরনের ওষুধের খোঁজ মিলেছে, যেটি প্রথাগত ভাবে কাজ করা ওষুধগুলির তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী। ওষুধটির নাম ‘টিরজেপাটাইড’। এই ওষুধটি ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণ অন্য ওষুধের চেয়ে অনেক দ্রুত করে। এর আরও কার্যকারিতা আছে। ওষুধটি স্বাভাবিক ইনসুলিন-রিলিজিং এবং অ্যাপেটাইট-সাপ্রেসিং হরমোনের নিঃসরণও স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে যেসব ডায়াবেটিস রোগী ওবেসিটি থেকে ভুগছেন তাঁদের ওজনও কমাতে সাহায্য করে এই ওষুধ। স্টকহোমে এই বছরের ‘ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ ডায়াবেটিস’ (ইএএসডি)-য়ে এই নতুন ওষুধটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

চার থেকে ১২ সপ্তাহ তিনটি মাত্রায় এই ‘টিরজেপাটাইড’ নেওয়া যাবে। ৫, ১০ ও ১৫ মিলিগ্রাম মাত্রায়। বলা হয়েছে, এই ওষুধটি ঠিক মাত্রায় এবং নিয়মমাফিক ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট রোগী এই রোগের ভোগান্তি থেকে দ্রুত রেহাই পাবে।

এর আগে আর একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটেছে। হাতে এসেছিল টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ওষুধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনও পেয়েছিল ওষুধটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক শাখা এই টাইপ-১ ডায়াবেটিস মোকাবিলায় ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল। যেসব রোগী টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে তাঁদের এই ওষুধ দেওয়া হলে তাঁরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দেরি করে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানানো হয়েছিল। টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা এই ঘটনাকে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ‘গেম চেঞ্জিং’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ডায়াবেটিসের প্রধানত দুধরনের– টাইপ-১ ডায়াবেটিস, টাইপ-২ ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিস শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার উপর আঘাত হানে এবং ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলি ধ্বংস করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরেও যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিনের উৎপাদন হয় না কিংবা দেহকোষ ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেয় না। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের চেয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। ওজন কমানো, শরীরচর্চা-সহ লাইফস্টাইল সংক্রান্ত জরুরি কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়, তবে টাইপ-১ জেনেটিক রোগে পরিণত হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস শনাক্ত হতে দেরি হলে শরীরের উপর তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এতে  শরীরের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

(Feed Source: zeenews.com)