জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডিএনএ মরে না। আগে ডিএনএ যতদিন সজীব থাকত বলে মনে করা হত, এখন জানা গিয়েছে, আসলে তার চেয়েও ঢের বেশিদিন বাঁচে তারা। আর সেই ডিএনএ বিশ্লেষণ করেই এক লস্ট ওয়ার্ল্ডের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে আপ্লুত সারা বিশ্ব। যে স্যাম্পেল থেকে এই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেটি সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০০৬ সালে।
কেমন ছিল সেই লস্ট ওয়ার্ল্ড?
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, হারিয়ে-যাওয়া-সেই আদিম পৃথিবীতে ছিল ম্যাস্টাডনস, রেইন ডিয়ার, হেয়ার, রাজহাঁসের মতো প্রাণী; ছিল পপলার, বার্চ থুজার মতো গাছ; ছিল ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক। ডিএনএ হল সেল্ফ-রেপ্লিকেটিং ম্যাটার। এটি জেনেটিক তথ্য বহন করে। অর্থাৎ, ডিএনএ হল এক হিসেবে প্রাণের ব্লু প্রিন্ট। নতুন এই গবেষণায় ২০ লক্ষ বছরের পুরনো ডিএনএ-র হদিশ মিলেছে। নমুনাটি পাওয়া গিয়েছে গ্রিনল্যান্ডের উত্তরে, আর্কটিক সমুদ্রের মুখে। এটি বিশ্লেষণ করেই নতুন দিনের জগতের সন্ধান মিলেছে।
এর মধ্যে ম্যাস্টাডন সব চেয়ে চিত্তাকর্ষক। এর আগে কখনও এই প্রাণীটির সম্বন্ধে কিচ্ছুটি জানা যায়নি। গ্রিনল্যান্ডে যে এটা কখনও ছিল, সেটাই জানা যায়নি। নেচার পত্রিকায় এ সংক্রান্ত গবেষণাটি বেরিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত ‘লুন্ডবেক ফাউন্ডেশন জিওজেনেটিকস সেন্টার’-এর ডিরেক্টর এসকে উইলারসেলভ।
গ্রিনল্যান্ডে যে কোনও কালে এরকম একটি জীববৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল সেটাই কখনও আঁচ করা যায়নি। উদ্ভিদ ও প্রাণীর এত বিপুল বৈচিত্র্য দেখে আশ্চর্য বিজ্ঞানীরাও। পাঁচটি জয়গা থেকে ৪১টি অর্গানিক-রিচড স্যাম্পেল সংগ্রহ করা গিয়েছে। এগুলি থেকে ১০০ প্রকারের উদ্ভিদ ও প্রাণীর খোঁজ মিলেছে। এই আবিষ্কারের ফলে এই পৃথিবীর আদিম সময়কার উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্য বিষয়ে নানা বিরল তথ্য জানা গিয়েছে।
(Feed Source: zeenews.com)