ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন তুরস্ক, ভয়াবহতা আরও বাকি, আট গুণ বাড়বে মৃতের সংখ্যা, জানাল WHO

ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন তুরস্ক, ভয়াবহতা আরও বাকি, আট গুণ বাড়বে মৃতের সংখ্যা, জানাল WHO

আঙ্কারা: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কার্যত ছিন্নভিন্ন দেশ। প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। আবার উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়েও দেখা দিচ্ছে বিপত্তি। কিন্তু এখানেই শেষ নয় দুর্ভোগ (Turkey Earthquake)। তুরস্কে ভূমিকম্পের কবলে মৃত্যুসংখ্যা ৩২ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার বাড়িঘর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে সেখানে। সেই নিরিখে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গগনচুম্বী হতে পারে বলেও দেখা দিয়েছে আশঙ্কা (Turkey-Syria Earthquake)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে এই পূর্বাভাস মিলেছে । মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা যখন ৪ হাজারের আশেপাশে, সই সময় ‘হু’ জানায়, আরও আট গুণ বাড়বে হতাহতের সংখ্যা। তাতেই প্রহর গুনতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব। গোটা বিশ্ব থেকে সাহায্য আসতে শুরু করেছে তুরস্কে। ‘হু’-র তরফেও সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে। ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ প্রদেশে আগামী তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিচেপ তইপ আর্দোয়ান।

আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে-র তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম বার রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৮। গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে, ভূগর্ভের ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। তুরস্কে এর আগে এত তীব্র ভূমিকম্প কখনও হয়নি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। প্রায় দু’মিনিট কম্পন স্থায়ী হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের।

অন্য দিকে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭.৫। কাহরামনমারস প্রদেশের এলবিস্তান জেলা ছিল কম্পনের উৎসস্থল। এখনও পর্যন্ত সেখানে আফটারশক অনুভূত হয়ে চলেছে। তুরস্ক এবং সিরিয়া, দুই দেশেই মৃতের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে সোমবার থেকে।

‘হু’-র আশঙ্কা যত সময় পেরোবে, মৃতের সংখ্যাও ততই বাড়বে। তারা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন। ইউরোপে ‘হু’-র জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ক্যাথকিন স্মলউড বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে একই জিনিস ঘটে। প্রাথমিক ভাবে হতাহতের যে সংখ্যা মেলে, তা ক্রমশ বাড়তে থাকে।” তুষারপাতের জেরে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা তাঁর।

তবে যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসের কবলে বিধ্বস্ত সিরিয়ার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের। সেখানে তুরস্ক সীমান্তের দুই পারেই বহু শরণার্থী তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন। বিদ্রোহী অধ্যুষি এলাকাগুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা দিয়েছে। হাজার হাজার বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে সেখানে।

(Feed Source: abplive.com)