দুবাই: টেস্ট ক্রমতালিকায় তুমুল উন্নতি করলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ২ অভিজ্ঞ সদস্য রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Aswin) ও রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। বোলারদের ক্রমতালিতায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন অশ্বিন। অন্য়দিকে অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন জাডেজা। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) প্রথম টেস্টে ২ জনেই দলের জয়ে মূল ভূমিকা নিয়েছেন। ২ স্পিনার মিলে মোট ১৫ উইকেট নিয়ে নিয়েছেন। ভারতও ইনিংস ও ১৩২ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় প্রথম টেস্টে।
অশ্বিনের স্পিন বোলিংয়ের কােনও উত্তর ছিল না নাগপুরে অজি শিবিরের কাছে। প্রথম ইনিংসে ৪২ রানের বিনিময়ে অশ্বিন ৩ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৩৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। মোট ম্যাচে ৮ উইকেট নেন তামিলনাড়ুর এই অভিজ্ঞ স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্সের থেকে ২১ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন অশ্বিন। অন্য়দিকে জাডেজা নাগপুর টেস্টের প্রথম দিনেই ৪৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। যার মধ্যে স্মিথ ও লাবুশেনের উইকেট ছিল। জাডেজা দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট তুলে নেন।
ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা নাগপুরে শতরান হাঁকানেরা পুরস্কার স্বরূপ ব্যাটারদের তালিকায় ১০ নম্বর থেকে ৮ নম্বরে উঠে এসেছেন। অলরাউন্ডারদের তালিকায় অক্ষর পটেল ৭ নম্বরে উঠে এসেছেন।
বিরাট কোহলির (Virat Kohli) নেতৃত্বে ভারতীয় দল কোনও আইসিসি ট্রফি জিততে না পারলেও, বেশ কিছু বড় সিরিজ জিততে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। বিরাটের নেতৃত্বেই প্রথমবার অজিভূমে টেস্ট সিরিজ নিজেদের নামে করে ভারত। তাও এক নয়, দুই দুইবার। বিরাটের নেতৃত্বেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও পৌঁছয় দল। এখন বিরাট জমানা শেষ হলেও, প্রাক্তন অধিনায়কের বেশি গুণ রপ্ত করেছেন বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)।
গুণ রপ্ত
রোহিত এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিরাটের অধিনায়কত্বে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছি। প্রতিপক্ষের উইকেট পড়ুক বা না পড়ুক, ও সবসময় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল। চাপের প্রভাবেই তো ভুলত্রুটি হয় এবং তার ফলেই সাফল্যও আসে। বিরাট অধিনায়ক থাকাকালীন এই গুণটা আমি ওর থেকে রপ্ত করেছি। আমি নিজেও এখন এই পদ্ধতিটা মেনে চলার চেষ্টা করি। প্রতিটি বলেই উইকেট নেওয়ার আশা বৃথা। সঠিক জায়গায় বল করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হবে এবং পিচকেও সাহায্য করার সুযোগটা দিতে হবে।’
(Feed Source: abplive.com)