মুম্বইয়ে ভারতের জয়, সচিনের স্মৃতিচারণা, খেলার দুনিয়ার সারাদিন

মুম্বইয়ে ভারতের জয়, সচিনের স্মৃতিচারণা, খেলার দুনিয়ার সারাদিন

কলকাতা: চাপের মুখে পরীক্ষায় সফল ভারতীয় ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ওয়ান ডে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। কাল আইএসএল ফাইনালে নামছে এটিকে মোহনবাগান। খেলার দুনিয়ার সব খবর এক ঝলকে।

টানা ৮ জয়

লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৮৯। কিন্তু একটা সময় ১৬ রান বোর্ডে তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে বসেছিল ভারতীয় দল। সেখান থেকে অনেকেই আশা করেনি যে ম্যাচ এভাবে জিতে যাবে ভারতীয় দল। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন কে এল রাহুল। টেস্ট সিরিজে ফ্লপ হয়েছিলেন। কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। চারিদিকে সমালোচিত হচ্ছেন। কিন্তু এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে ম্যাচ জেতানো অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন ডানহাতি এই কর্ণাটকী ব্যাটার। ৬১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত। এই নিয়ে টানা ৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে জয় পেল ভারত।

রাহুলের প্রত্যাবর্তন

তাঁর ব্যাটে রানের খরা চলছিল। এমনকী, জাতীয় দলের সহ অধিনায়ক হিসাবে শুরু করেও অস্ট্রেলিয়ার (Ind vs Aus) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতের প্রথম একাদশে থেকে বাদ পড়েছিলেন।

ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কে এল রাহুল (KL Rahul) বেছে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। প্রবল চাপ সামলে হাফসেঞ্চুরি। পাঁচ নম্বরে নেমে ৯১ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেললেন। ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৫ উইকেটে হারাল ভারত (Team India)। ৬১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যপূরণ হল।

ম্যাচের পর নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি রাহুল। ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছিলাম তিন উইকেট দ্রুত চলে গিয়েছে। স্টার্ক দারুণ স্যুইং করাচ্ছিল। ব্যাটারের ভেতরের দিকে বল আনতে পারলে ও ভয়ঙ্কর। আমি স্বাভাবিক ক্রিকেটীয় শট খেলার চেষ্টা করেছি। কয়েকটা বাউন্ডারি পেয়ে যাওয়ার পরই স্নায়ুর চাপ সামলে উঠতে পেরেছিলাম। শুভমন, হার্দিক ও জাডেজার সঙ্গে ব্যাট করলাম। আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল যে, উইকেটে বোলারদের জন্য সুবিধা রয়েছে। তবে নিজেদের খোলসে ভরে ফেলতে বা কোনও একজন বোলারের ওভার কাটিয়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি। আমরা চেয়েছিলাম ইতিবাচক থেকে আলগা বলে শট খেলতে। ফুটওয়ার্ক ভাল থাকলে ভালই খেলব আমরা আর জাডেজার সঙ্গে ব্যাট করাটা ভীষণ উপভোগ্য।’

আইরিশ চ্যালেঞ্জ

আগামী অগাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সে দেশে উড়ে যাচ্ছে ভারতীয় দল। অগাস্টের ১৮ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত এই তিন ম্য়াচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলবে। আগামী সেপ্টেম্বরে ইংল্য়ান্ডে উড়ে যাবে রোহিত বাহিনী। সেখানে ২০ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তার আগেই আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে রোহিত বাহিনি।

কাউন্টিতে অর্শদীপ

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম সেরা অস্ত্র। তাঁর গতি সামলাতে গিয়ে হিমশিম খান বিশ্বের তাবড় ব্যাটাররা। সেই অর্শদীপ সিংহ (Arshdeep Singh) এবার ডাক পেলেন কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার। সব কিছু ঠিকঠাক চললে কেন্টের (Kent) হয়ে খেলতে দেখা যাবে বাঁহাতি পেসারকে। যে দলের হয়ে এক সময় কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেছেন রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তি।

মাস্টারের স্মৃতিচারণা

বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ডুয়েল মানা হয় ভারত-পাক মহারণকে। মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, সবেতেই যে কোনও মহারণকে টেক্কা দেবে ভারত-পাক ডুয়েল। আর এই মহারণের কথা উঠলেই ২০০৩ বিশ্বকাপের (world Cup 2003) ভারত-পাক ডুয়েলের কথা উঠবেই। সেই ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) ৯৮ রানের ইনিংসটি বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওয়ান ডে ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল সেই ম্যাচে ৬ উইকেট জয় ছিনিয়ে নেয়।

এক সাক্ষাৎকারে সেই ম্যাচের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সচিন বলেন, ”আমি ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তান ম্যাচের আগের রাতে ঘুমোতে পারিনি। আমরা সবাই জানি যে ভারত-পাক দ্বৈরথ সবসময়ই হাই ভোল্টেজ। সবার একটাই দাবি যে অন্য ম্যাচ যাই হোক না কেন, এই ম্যাচটা জিততেই হবে। প্রত্যেকের প্রত্যাশা থাকে। তাই আলাদা একটা চাপ সবসময় কাজ করে।” সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ২৭৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শোয়েবের বলে আপার কাটে একটি পেল্লাই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এই শটটিকেই অন্যতম সেরা শট হিসেবে বেছে নিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি বলেন, ”এই ধরণের শট কখনও প্ল্যান করে হয় না। যখন এমন বল খেলার সুযোগ থাকে, তখন শট খেলতে হয়। আমি দেখেছিলাম যে অফস্ট্যাম্পের কিছুটা বাইরে রয়েছে সেই বল, এমনকী শর্ট বলও, তাই আমি শটটি মারতে চেয়েছিলাম।”

পুল-এর সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে ৭৫ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন সচিন। অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন যুবরাজ সিংহ। অন্যদিকে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন দ্রাবিড়। ৪৫.৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারতীয় দল।

পেনের অবসর

জাতীয় দলের হয়ে বহুদিন ধরেই খেলেন না, এবার ঘরোয়া ক্রিকেটকেও বিদায় জানালেন টিম পেন (Tim Paine)। প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান (Australian Cricket Team) অধিনায়ক পেন আজই সমস্ত ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন। তাসমানিয়ার হয়ে কুইন্সল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তারকা কিপার-ব্যাটার। এই ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলোয়াড় হিসাবে পেনের কেরিয়ারও সমাপ্ত হল।

(Feed Source: abplive.com)