ভারতসেরা হয়ে শহরে ফিরলেন প্রীতমরা, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা মোহনবাগান সমর্থকরা

ভারতসেরা হয়ে শহরে ফিরলেন প্রীতমরা, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা মোহনবাগান সমর্থকরা

কলকাতা: ভারত জয় করে শহরে ফিরল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) দল। গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে আইএসএল ফাইনালে (ISL Final) বেঙ্গালুরু এফসিকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে হারায় সবুজ মেরুন।

বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

আইএসএল জয়ের পর বিশাল কায়েথ, প্রীতম কোটালরা বিমানবন্দরে নামতেই বাঁধভাঙা উল্লাসে ভাসলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। গোটা মরসুম জুড়েই অনবদ্য পারফর্ম করে নজর কেড়েছেন সবুজ মেরুন গোলরক্ষক বিশাল কায়েথ। ফাইনালেও ফের গোলকিপার হাত ধরে এল জয়। পেনাল্টি শ্যুট আউটে একটি অনবদ্য সেভ করেন বিশাল। ম্যাচ জুড়েও তাঁর পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। বিশালের সেভ ছাড়াও পাবলো পেরেজ একটি শট গোলের তেকাঠির মধ্যেই রাখতে পারেননি। ফলে টাইব্রেকারে ৪-৩-এ বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় এটিকে মোহনবাগান।

নতুন নাম

প্রসঙ্গত, আইএসএলে প্রথম খেতাব জয়ের পরেই আগামী মরসুম থেকে এটিকে মোহনাবাগানের নাম বদলের কথা ঘোষণা করেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Sanjiv Goenka)। পরের মরসুম থেকে আর এটিকে মোহনবাগান নামে আইএসএলে খেলবে না সবুজ মেরুন। দলের নতুন নাম হল ‘মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস’। এটিকে মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাঠে দাঁড়িয়ে গোয়েঙ্কা বললেন, ‘আমরা বিষয়টা আগেই ভেবে রেখেছিলাম। ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। আমাদের মনে হয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো সময় আর পাওয়া যাবে না। এটাই সেরা সময়।’

মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা

কলকাতার ক্লাবের জয়ের পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। তিনি লেখেন, ‘আইএসএল ফাইনালে এই অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য এটিকে মোহনবাগানকে অনেক অনেক অভিনন্দন। তোমাদের কঠোর পরিশ্রম, ফুটবলের প্রতি ভালবাসা এবং দায়বদ্ধতার প্রশংসনীয়, তোমরা আরও উন্নতি করবে। ভবিষ্যতের সকল ম্যাচের জন্য আমার তরফে অনেক শুভেচ্ছা রইল।’

ম্যাচের বিবরণ

প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটে কর্নার পায় এটিকে মোহনবাগান। পেট্রাটসের কর্নার কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে হাতে লাগিয়ে বসেন রয় কৃষ্ণা। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন পেট্রাটস।

যদিও গোল খেয়ে তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে বেঙ্গালুরু এফসি। ৬০ শতাংশ বলের দখল নিজেদের কাছে রেখেছিল বেঙ্গালুরু। তার ফলও পায়। প্রথমার্ধে ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম দিয়েছিলেন রেফারি। তিন মিনিট শেষ হতে তখন আর কয়েক সেকেন্ড বাকি। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের বক্সে রয় কৃষ্ণাকে ফাউল করে বসেন শুভাশিস বসু। রেফারি পেনাল্টি দিলে কৃষ্ণা নন, শট নিতে যান সুনীল ছেত্রী। ঠান্ডা মাথায় গোল করেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে উলটপুরাণ। ৭৮ মিনিটের মাথায় সুরেশ সিংহের কর্নার কিক থেকে শূন্যে লাফিয়ে হেড করে দুরন্ত গোল করেন রয় কৃষ্ণা। যিনি আবার এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তনী। তবে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করে কোনও উৎসব করলেন না কৃষ্ণা। নাটকের তখনও বাকি ছিল। শেষ বাঁশি বাজার ৬ মিনিট আগে সদ্য নামা কিয়ান নাসিরিকে ফাউল করেন পাবলো পেরেজ। পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন পেট্রাটস।

(Feed Source: abplive.com)