রাতের সোনার কেল্লা, সার্কিট হাউসে শ্যুটিং, রাজস্থান সফরে একেনের পাতে পড়ল মাওয়া কচুরি, রাবড়ি

রাতের সোনার কেল্লা, সার্কিট হাউসে শ্যুটিং, রাজস্থান সফরে একেনের পাতে পড়ল মাওয়া কচুরি, রাবড়ি

কলকাতা: এই ছবির গোয়েন্দা কেবল রহস্য সমাধান করেন না। তিনি এক্কেবারে মাছে-ভাতে, একটু আলসে, একটু মজার কিন্তু ক্ষুরধার বুদ্ধির এক চরিত্র। একেনবাবু। ফের একেনের নতুন ছবি নিয়ে ফিরছেন অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakrabarti)। পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ (SVF) নববর্ষে নিয়ে আসছে একেনের নতুন ছবি ‘রুদ্ধশ্বাস রাজস্থান’ (Ruddhyoswas Rajasthan)। সেই ছবির শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতাই এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন ‘একেন’ অনির্বাণ।

একেনের শ্যুটিংয়ের দৌলতেই প্রথম রাজস্থানে গেলেন অনির্বাণ। এই শহরের এলে বাঙালির সোনার কেল্লা মনে পড়বে না তা কার্যত অসম্ভব। অনির্বাণ বলছেন, ‘এই প্রথম মরুভূমি দেখলাম আমি। সোনার কেল্লায় একটা অংশের শ্যুটিং হয়েছে আমাদের। সোনার কেল্লায় যাব আর সত্যজিৎ রায়কে মনে পড়বে না সেটা অসম্ভব। তবে আমাদের রাত্রে সোনার কেল্লায় একটা দৃশ্য রয়েছে। রাতের সোনার কেল্লা সাধারণত আমরা ছবিতে দেখতে পাই না। এই ছবিতে সেটা দেখা যাবে। এছাড়াও সোনার কেল্লার বিখ্যাত সেই সার্কিট হাউজের বারন্দায় একটা দৃশ্য হয়েছে। সেখানে সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ রয়েছে। এটা ওঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বলতে পারেন। খুব সুন্দরভাবে রক্ষা করেছে ওরা। সেই আগের মতোই কাচের দরজা, বারান্দা, জালের গেট সমস্ত এক্কেবারে একই রকম রয়েছে।’

একেনবাবু মানেই খাওয়া দাওয়া। রাজস্থানের মেনুতে কী কী ছিল? একটু হেসে অনির্বাণ বললেন, ‘একেন তো শুধু গোয়েন্দা গল্প নয়, এর মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি। পোশাক থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া, একেন যেখানে যান, সেখানটার বিভিন্ন জায়গা, খাবার ইত্যাদির বিশেষত্ব তুলে ধরা হয়। অনেকটা ট্রাভেলগের মতোই। রাজস্থানে গিয়ে আমরা পেঁয়াজ কচৌরী, মির্চ পকোড়া, এক ধরনের শুকনো শাক, ডাল বাটি চুরমার মতো বিখ্যাত খাবারগুলো চেখে দেখলাম। মিষ্টির মধ্যে খেয়েছি দুর্দান্ত রাবড়ি, মুগডাল হালুয়া, আর মাওয়া কচুরি। এই ধরনের কচুরির ভিতরে রাবড়ি ভরা থাকে। অনবদ্য স্বাদ। আমি পাঁঠার মাংস খাই না, তবে এখানেও অন্য সমস্ত ছবির মতোই চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে ওখানকার বিখ্যাত একটা খাবার লাল মা খেতে হয়েছে। একদিন একটা খাওয়ার দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের জন্য সমস্ত ভাল খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল সেটে। শ্যুটিং শেষ হতেই টেবিলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গোটা ইউনিট।’

গোয়েন্দা ইউনিভার্সে কড়া টক্কর দিচ্ছেন একেন। অনির্বাণের চোখে এই গোয়েন্দার এক্স ফ্যাক্টর কী? অভিনেতা বলছেন, ‘একেনবাবু কেবল রহস্য সমাধান করেন না। হাবেভাবে তিনি একেবারে পাশের বাড়ির মানুষ। তাঁর মধ্যে ছেলেমানুষি রয়েছে, সবসময় হাসিমুখে থাকতে ভালবাসেন। তিনি কখনও রহস্য সমাধান করতে পারেন ও না, তবে সেটা নিয়েও তিনি মজা করতে জানেন। আবার অন্যের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে তা সমাধানের জন্যও ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। একেনের সারল্য শিশুমনকেও ছুঁয়ে যায়। ভোজনরসিক এই গোয়েন্দা এখানেই সবার থেকে আলাদা হয়ে যায় বোধহয়।’

(Feed Source: abplive.com)