জ্বর, কফ জমেছে, কোষ্ঠকাঠিন্য? মালবেরি ফলেই হবে সব সমাধান! চেনেন ফলটি? অবাক হবেন

জ্বর, কফ জমেছে, কোষ্ঠকাঠিন্য? মালবেরি ফলেই হবে সব সমাধান! চেনেন ফলটি? অবাক হবেন

রঞ্জন চন্দ: মালবেরি, যার প্রচলিত নাম তুঁতে। এই তুঁত ফল বা মালবেরি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। জানেন মালবেরি খেলে কোন কোন রোগ থেকে প্রতিকার হয়?

তুতেঁর লালচে কালো ফল খুবই রসালো, নরম, মিষ্টি টক ও সুস্বাদু হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুঁত ফল উপকারী। এ ছাড়া পাকা ফলের টক-মিষ্টি রস বায়ু ও পিত্তনাশক, দাহনাশক, কফনাশক ও জ্বরনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমিনাশক।

সঙ্গত উত্তর কিংবা দক্ষিণ ভারতে তুঁত গাছ চাষ করা হয় মূলত ফলের জন্য। তুঁত গাছ পাতা ঝরা প্রকৃতির গাছ। একটি তুঁতে গাছ থেকে অনেক ফল মেলে। যা মূলত রসালো প্রকৃতির হয়। স্বাদ হয় টক মিষ্টি।ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো ফল মিলে একটি ফল তৈরি করে, এটি বেরি জাতীয় ফল। এ দেশে তুঁত গাছে প্রচুর ফুল আসে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। এবং ফল পাকে মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে। কাঁচা ফলের রং সবুজ, কিন্তু পাকলে টকটকে লাল ও সম্পূর্ণ পাকলে কালচে হয়ে যায়। কাঁচা পাকা ফল যখন গাছে প্রচুর ধরে থাকে তখন তা এক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের সৃষ্টি করে। খেতেও বেশ সুস্বাদু।

ঠান্ডা লেগে জ্বর কিংবা কাশি হলে তুঁত গাছের ফল অত্যন্ত উপকারী ফল। স্থানভেদে ভিন্ন ধরনের তুঁত দেখা যায় ।যার ফল সাদা বর্ণের, পাকলে হয় হালকা গোলাপী সাদা। এ ফল টক তেমন নয়, স্বাদে খুব মিষ্টি ও রসালো। মূলত এ প্রজাতির তুঁত ফলের জন্য চাষ করা হয়। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি ও স্কোয়াশ বা পানীয় তৈরি করা যায়। প্রসঙ্গত ঝাড়গ্রাম জেলার বনপুরা এলাকায় এক ব্যক্তি নিজের বাড়িতেই পরীক্ষামূলকভাবে লাগিয়েছেন মালবেরির গাছ। বর্তমানে বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ঔষধি গুণ বেশ। স্বাভাবিকভাবে তুঁত গাছ চাষ করে বিকল্প আয় ও করা যেতে পারে।

(Feed Source: news18.com)