নয়া দিল্লি: গুপি-বাঘাকে ভূতের রাজা দিয়েছিল আশ্চর্য জুতো জোড়া। পায়ে দিয়ে হাতে হাতে তালি দিলেই ‘যেথায় খুশি যাইতে পারি’…। বাস্তবে ভূতের রাজার দেখা পাওয়া মুশকিল। কিন্তু তাতে কী! প্রযুক্তি তো রয়েছে। এবার সেই প্রযুক্তির হাত ধরেই জুতোর জোরে চার্জ হয়ে যাবে মোবাইল, এমনকী ল্যাপটপও।
মোবাইল, ল্যাপটপ হোক বা স্মার্টওয়াচ—নিয়মিত ব্যবধানে চার্জিং করতেই হয় তাদের ব্যাটারি। নইলে সব অচল। অথচ, আমরা অনেকেই তাড়াহুড়ো করে সামান্য চার্জ হলেই গ্যাজেট নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। মাঝরাস্তায় বিপত্তিও বাধে। ব্যাটারি কমতে কমতে গ্যাজেট বন্ধও হয়ে যেতে পারে। কারণ রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুৎ সংযোগ আসবে কোত্থেকে! এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এবার আর চিন্তা করতে হবে না রাস্তায় চার্জিং নিয়ে। কারণ ব্যাটারি লো হলে একটু জোরে হেঁটে নিতে হবে গ্যাজেটের মালিককে। মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জ হয়ে যাবে ওই পায়ের বেগেই। আসল কেরমতি লুকিয়ে থাকবে জুতোয়।
এমন এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার করে ফেলেছে ছত্তিশগড়ের তিনজন পড়ুয়া। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্ররা তৈরি করে ফেলেছে একটি হাই-টেক জুতো। যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতে পারে। তা থেকেই চার্জ করে ফেলা যাবে গ্যাজেট। শুধু তাই নয় এই জুতোতে রয়েছে লোকেশন ট্র্যাকার।স্থানীয় পিথোরা সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই তিন পড়ুয়া এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এই বিশেষ জুতো তৈরি করেছে। সংস্কার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণ বিজ্ঞানী গৌরব চন্দ্রকার বলেন, এসব হাইটেক জুতো পরলে হাঁটার সময় মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চার্জ করা যায়।
আবার এই বিদ্যুৎই জুতোর মালিক বিপদে পড়লে রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়াবে। তিনি চাইলে জুতো থেকে হাই ভোল্টেজের শক দিতে পারেন শত্রুকে। এতে জিপিআরএস সিস্টেমও রয়েছে। ফলে বিপদবার্তা পৌঁছে যাবে পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে। যে তিন পড়ুয়া এই আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত তাদের নাম মেঘ সিংহ, আলিফা ভোই ও প্রীতি চৌহান। এদের সকলের দাবি, এই জুতোগুলি সেনা ও নারী সুরক্ষায় সাহায্য করবে। সরকারি ভাবেই এই জুতো বাজারে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। দাম পড়বে মাত্র ১৫০০ টাকা।