রাঁচি: বিহারে বালিকে ‘হলুদ সোনা’ বলা হয়৷ আর সেই ‘হলুদ সোনা’ দিয়ে কামাই ও হয় মোটা৷ নিজেদের কোটি কোটি টাকার রোজগারের যোগান যাতে থাকে তার জন্য বালি মাফিয়ারা কোনও কিছু করতেই পিছপা হন না৷ এই বালি মাফিয়াদের কুকীর্তির কথা ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভাইরাল ভিডিও-র সুবাদে৷
পটনার বিহটা থানা এলাকার পরেব গ্রামে এই ঘটনা৷ সেখানে লরিতে বালি ওভারলোডিংয় চেকিং করা হয়েছিল৷ ট্রাক চালক এবং বালি মাফিয়াদের নিয়ে ইন্সপেক্টর মহিলা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের ইঁট পাথর ছুঁড়ে রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করায়৷ তাঁদেরকে পেটায় বালি মাফিয়ারা৷
মহিলা ইন্সপেক্টর প্রাণভয়ে দৌড়তে থাকেন৷ কিন্তু দুষ্টু লোকরা দৌড়ে দৌড়ে তাঁকে মারতে থাকে৷ পুরো ঘটনার ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও৷ তবে এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা নিউজ ১৮ যাচাই করেনি৷
জানা গেছে গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে জেলা খনন বিভাগ মহিলা ইন্সপেক্টর সমস্ত কর্মচারীরা বিহটার পরেব গ্রামের কাছে বালি ওভারলোডিংয়ের বিরুদ্ধে চেকিংয়ের অভিযান চালিয়েছিল৷
এই সময়ে ট্রাকতারপ চালকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়৷ এরপরেই ট্রাক চালক জেলা খননের ইন্সপেক্টরদের এবং অন্য কর্মীদের বিহাটা আরা এনএইচে দৌড় করায়৷ সেই সময় তাদের দিকে ইঁট পাথর ছুঁড়ে মারছিল তারা৷ প্রাণ বাঁচানোর জন্য জেলা খনন দল পালাতে থাকছিল৷ সেই সময়ও মানুষ পিটাতে থাকে৷
প্রায় ১৫০ অবধি বালি লোডেড ট্রাক ধরেছিল৷ তাকে ছাড়ানোর জন্য বালি মাফিয়া এবং তার লোক হামলা করলে শুরু করে৷ বালু ঘাটের কাছে খনন মহিলা ইন্সপেক্টর এবং তার দলকে দৌড় করিয়ে মারে৷
ফোনে সংবাদদাতা অমরজিৎ শর্মা জানিয়েছেন জেলাধিকারী চন্দ্রশেখর সিং বলেছেন উপদ্রবকারীরা খনন পদাধিকারী এবং ইন্সপেক্টর দল পাগলের মতো করে৷
এই মামলার গম্ভীরতা নিয়ে নিজেদের ডিটিও এবং এসডিএম দানাপুরের নেতৃত্বে রিফোর্সমেন্ট দল গেছে এবং ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এই মামলা দরাজ করা হয়েছে৷