লন্ডন: তৃতীয় চার্লসের আনুষ্ঠানিক অভিষেকের দিন চার্লসের স্ত্রী রানি কনসর্ট ক্যামিলার মাথায় দেখা যাবে না কোহিনূর হীরাখচিত মুকুট। লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে চার্লসের অভিষেকের রাজকীয় আয়োজনে বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে আগেই এক ঘোষণায় জানানো হয়েছিল, রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে কুইন কনসর্ট ক্যামিলা কোহিনূরখচিত মুকুট না পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর বদলে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা কালিনিয়ান হিরে খচিত মুকুট পরবেন। যার অর্থ হল, বিতর্ক এড়াতেই কোহিনূর মুকুট প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছে বাকিংহাম প্যালেস।
দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, সিংহাসনে অভিষেকের সময় রানিরা মাথায় পরেন কোহিনূরের মুকুট। ২০২২ সালের শুরুতেই প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর চার্লস সিংহাসনে বসলে নতুন রাজার স্ত্রী ক্যামিলা কোহিনূরখচিত রাজমুকুটের উত্তরাধিকারী হবেন।
আরও পড়ুন
ওই কোহিনূর হিরে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। ইতিহাসখ্যাত কোহিনূর হিরেটি ১০৫ দশমিক ৬ ক্যারেটের। ভারত থেকে এটি ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র দাবি, রানি ভিক্টোরিয়ার হাতে কোহিনূর তুলে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। লর্ড ডালহৌসি ও মহারাজা দলিপ সিংহের মধ্যে ১৮৪৯ সালে লাহোর চুক্তি অনুযায়ী, লাহোরের মহারাজা ওই কোহিনূর হিরে ইংল্যান্ডের রানিকে দিতে বাধ্য হন।
বিভিন্ন সময় ঐতিহাসিক কোহিনূর হিরে ফেরত চেয়েছে ভারত। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরও কোহিনূর ফেরতের দাবি ওঠে। এই নিয়ে বিতর্কও দেখা দেয়। এমন কি, কোহিনূর ফেরানো নিয়ে সম্প্রতি গুড মর্নিং ব্রিটেন নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের সঙ্গে ভারতীয় সাংবাদিক নরিন্দর কাউড়ের সঙ্গে রীতিমতো তীব্র বিতর্ক হয়।
আবার দক্ষিণ আফ্রিকার যে কালিনিয়ান হিরেটি রানি ক্যামিলার পরার কথা, সেটি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে এই হিরের মুকুটও তাঁদের দেশে ফেরানো হোক।