কেশিয়াড়ি : লাখ টাকার চাকরি ছেড়ে অর্কিড চাষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ২০০০ স্কোয়ার মিটার এলাকায় পলি হাউস করে ২২ হাজার আর্কিড গাছের চারা লাগিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অর্কিডের চাষ করে বার্ষিক মোটা অঙ্কের লাভের দিশা দেখাচ্ছেন এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
খড়্গপুরের ইন্দার বিদ্যাসাগর পল্লী এলাকার বাসিন্দা সুকান্ত চক্রবর্তী, কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা এলাকায় বিশাল জায়গায় দুটি পলি হাউস করে ২২ হাজার অর্কিডের চারা লাগিয়েছেন।
সুকান্ত বাবু একটি নামকরা কোম্পানিতে বেশ কিছু ডিপার্টমেন্টে দীর্ঘ সাতাশ বছর চাকরি করেছেন। তবে ছোট থেকেই তার ইচ্ছে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা। কাজের পাশাপাশি তার জীবনের ইচ্ছে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে উন্নতি সাধনের বদলে সার্বিক উন্নয়ন করা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি তার চাকরি ছেড়ে কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা এলাকায় শুরু করেন অর্কিড এর চাষ। বর্তমান ভারতীয় বাজারে অর্কিড ফুলের চাহিদা রয়েছে বেশ। তবে ভারতে এর চাষ খুব কম হয়। স্বাভাবিকভাবে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে পলি হাউস করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করছেন অর্কিডের।
জানা গেছে, উন্নত প্রজাতির এই অর্কিডের চাষ করতে সন্তান সুলভ পরিচর্যা করতে হয়। পাশাপাশি নারকেল ছোবড়ার উপরে গাছ লাগিয়ে প্রতিদিন জল, প্রয়োজনীয় খাবার দিলে প্রায় বছর দেড়েক পর প্রতিদিন ফুল পাওয়া যাবে গাছ থেকে। যা পার্শ্ববর্তী কলকাতা সহ অন্য বাজারে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা পাওয়া যাবে। দুটি পলিহাউসে সুকান্তবাবুর খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। এই চাষ করলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়।
প্রতিদিন নিয়ম করে গাছের পরিচর্যা করেন সুকান্তবাবু। সুকান্ত বাবুর বক্তব্য, চাকরি ছেড়ে তিনি এই অর্কিড ফুলের চাষ শুরু করেছেন। চাকরি জীবনে শুধুমাত্র ব্যক্তি কেন্দ্রিক সুবিধা হয়। তবে বৃহৎ ক্ষেত্রে সার্বিক সাধারণ মানুষের উন্নতি সাধনের কথা ভাবতে হবে সকলকে।
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অর্কিড চাষ করে বর্তমান প্রজন্মকে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সুকান্তবাবু।
(Feed Source: news18.com)