বাইডেন-সুনককে আলিঙ্গন মোদির, হিরোশিমায় G7 সম্মেলনে ‘চাঁদের হাট’

বাইডেন-সুনককে আলিঙ্গন মোদির, হিরোশিমায় G7 সম্মেলনে ‘চাঁদের হাট’

হিরোশিমা (জাপান) : G7 সম্মেলনে হাজির বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak) কে নেই সেখানে। সম্মেলনের মঞ্চেই বাইডেন-সুনকের সঙ্গে আলিঙ্গন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

ভারত যদিও G7 রাষ্ট্রভুক্ত দেশ নয়, তবু জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। হিরোশিমার সম্মেলন মঞ্চে হাজির হলে এদিন তাঁকে স্বাগত জানান কিশিদা। এদিকে G7 সম্মেলনের পাশাপাশি Quad নেতৃত্বের বৈঠকে যোগ দেবেন বাইডেন। হিরোশিমায় সেই বৈঠকে হাজির থাকবেন- অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাইডেনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ফুমিও কিশিদার সঙ্গে ভারত-জাপান বন্ধুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। বাণিজ্য-অর্থনীতি ও সংস্কৃতি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়। পরে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ও প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। সম্মেলনের পার্শ্বমঞ্চে এক অপরকে আলিঙ্গন করেন।

G7 সম্মেলনে যোগ দিতে গতকালই জাপান পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। গতকালই হিরোশিমায় পা রাখেন তিনি। সম্মেলেন অতিথি দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতকে। ২০০৩ সাল থেকে G7 সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে ভারত।

Nikkei। এশিয়ার অন্যতম স্বতন্ত্র বিজনেস মিডিয়া গ্রুপ। জাপানে G7 সম্মেলনের আগে তাদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক ইস্যু উঠে আসে। তার মধ্যে ছিল চিনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা। সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “ভারত নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করতে প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গ্রীষ্মে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি এবং স্থিতাবস্থা প্রয়োজন। পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থের উপর ভিত্তি করে ভারত-চিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

ওঠে পাকিস্তান-প্রসঙ্গও। মোদি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে “স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু, সন্ত্রাসবাদমুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা ইসলামাবাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

মোদিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারত কি রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব মেটাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে ? এপ্রসঙ্গে তাঁর উত্তর, “ভারত শান্তির পক্ষে এবং দৃঢ়ভাবে সেই অবস্থানেই থাকবে। যাঁরা ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন, আমরা তাঁদের সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে খাবার, জ্বালানি ও সারের মতো জিনিসের দামবৃদ্ধির সময়ে। আমরা রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছি।”

(Feed Source: abplive.com)