মুর্শিদাবাদঃ ভোজনরসিক বাঙালি। নতুন নতুন খাবার খেতে কে না ভালবাসে। মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে বিখ্যাত মুর্শিদাবাদ জেলার রোল চমচম। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার ডাকবাংলাতে একটি মিষ্টির দোকানে তৈরি করা হয় বিভিন্ন রকমের মিষ্টি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই রোল চমচম মিষ্টি।
সব শ্রেণির ভোজনরসিক মানুষের কাছে মিষ্টির কদর রয়েছে। খুশির খবর উদযাপন ও অতিথি আপ্যায়ন-সহ যে কোনও উৎসব মিষ্টি ছাড়া জমে না। মিষ্টির জগতে বহু বছর ধরেই জনপ্রিয় মুর্শিদাবাদের ‘রোল চমচম’। এই মিষ্টির সুনাম রয়েছে জেলা-সহ দেশ ও দেশের বাইরেও।
মিষ্টিপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় থাকা একটি অন্যতম খাবার চমচম। রকমভেদে রোল চমচম দেশের একেক অঞ্চলে একেকভাবে বানানো হয়। চমচম মিষ্টি সাধারণত একটু রসালো হয়। সেই চমচমের ওপরে খাঁটি দুধের ছানার তৈরি মাওয়ার শুকনো গুঁড়ো (ক্ষীর) প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয় ক্ষীর চমচম। মিষ্টি কেটে তার মধ্যেই পুর ভরে ওপরে চকলেট ফ্লেভার দেওয়ার পর বক্স প্যাকিং করে তা বিক্রি হয়। দৈনিক প্রায় ৫০০ পিস মিষ্টি বিক্রি হয়।
এই রোল চমচম বানাতে প্রথমে খামারীদের থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এই দুধ জ্বাল দিয়ে ছানায় রূপান্তর করা হয়। পরে সেটা চমচমের রূপ দিয়ে মিষ্টির রসের মধ্যে ভিজিয়ে রাখা হয়। পরবর্তী ধাপে ছানা দিয়ে তৈরি নরম মাওয়াকে শক্ত মাওয়ায় পরিণত করা হয়। এই মাওয়া ভেঙে চালনি দিয়ে চেলে গুঁড়ো (রোল চমচম) বানিয়ে চমচমের ওপরে প্রলেপ দিয়ে বানানো হয় রোল চমচম। তার ওপরে চকলেট ফ্লেভার দিয়ে বিক্রি করা হয় দোকানে। এই রোল চমচমের এর পাশাপাশি ডাকবাংলাতে পেঁরা সন্দেশ, বরফি, কাটারিভোগ, রসগোল্লা, রসমালাই, কালোজাম, স্পঞ্জ -সহ বিভিন্ন পদের মিষ্টি তৈরি হয়।
(Feed Source: news18.com)