গুরুকে সম্মান! চিপককে স্তব্ধ করে ধোনির ক্যাচ নিয়ে আনন্দ করলেন না হার্দিক

গুরুকে সম্মান! চিপককে স্তব্ধ করে ধোনির ক্যাচ নিয়ে আনন্দ করলেন না হার্দিক

ধোনি আমার গুরু, ধোনি আমার মেন্টর, অমানুষ ছাড়া কেউ ধোনিকে অপছন্দ করতে পারে না। গুজরাটের টাইটান্সের অফিশিয়াল পেজে এভাবেই গুরুবন্দনা করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেটা যে কথার কথা নয়, মঙ্গলবারের চিপকে নিজের আচরণের মধ্যে দিয়ে বোঝালেন তিনি। ম্যাচের শেষে প্রশংসায় ভরালেন তাঁর আদর্শকে।

মঙ্গলবার চলতি আইপিএলের কোয়ালিফায়ার-১’এ মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস এবং গুজরাট টাইটানস । লড়াইটা ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্ব বনাম মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বের। তবে চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ চিপকে যে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না তা ভালো করেই জানতেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারত বা বিশ্বের যে প্রান্তেই ধোনি খেলুন না কেন তাঁর জন্য যে আলাদা সমর্থন থাকবে তা বলাই বাহুল্য। চিপক হলে তো কথাই নেই। হলুদ রঙের জনসমর্থনের সমুদ্রের মাঝে খেলতে হয় বিপক্ষকে। এমন আবহে কোয়ালিফায়ারের মতন ম্যাচে চটজলদি ধোনিকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েও উচ্ছ্বাসহীন থাকলেন বিপক্ষ অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া!

চলতি মরশুমের আইপিএলে সিএসকের হয়ে মূলত ফিনিশারের কাজ করছেন তিনি। প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক রূপ ধারণ করেছেন। চটজলদি ১৫-২০ গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেছেন দলের হয়ে।তবে এদিন ধোনি আর তা করতে পারেননি। দুটি বল খেলে তিনি আউট হয়ে যান মাত্র ১ রান করে। মোহিত শর্মার বলে মারতে গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। ফলে ঘরোয়া টিম ভালো পারফরম্যান্স করলেও ধোনির তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়াতে কিছুটা হতাশ হয়ে যায় দর্শকরা। তবে ধোনিকে আউট করেও কোনরকম কোন ও উচ্ছ্বাস করেননি হার্দিক।

এটাই কী শেষবারের মতো চিপকে ধোনির খেলা। সেই উত্তর এখনি পাওয়া যাবে না, কারণ মাহি নিজেই বলেছেন যে সাত-আট মাস বাদে মিনি নিলামের সময় তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে যদি এটাই শেষ ম্যাচ হয়, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই এটা অ্যান্টি ক্লাইমেক্স হল কারণ খুব কম রান করেই আউট হয়ে গেলেন তিনি। সেই সব কথা ভেবেই হয়তো কোনও সেলিব্রেশন করেননি পান্ডিয়া। ধোনিকে শুধু মেন্টর নয়, গুজরাটের দলকেও চেন্নাইয়ের আদলে বানিয়েছেন তিনি। সাফল্যও এসেছে নজরকাড়া। তবে গুরু-শিষ্যের মঙ্গলবারের লড়াইয়ে শেষ হাসি যদিও গুরুর পক্ষে। ধোনি নিজে হয়তো রান করেননি কিন্তু দল জিতেছে ১৫ রানে। রেকর্ড দশমবার ফাইনালে উঠল সিএসকে, যদি চিপকে ধোনির এটা শেষ ম্যাচও হয়, এই কথা থেকে যাবে সোনালি অক্ষরে। স্কোরকার্ড তখন রয়ে যাবে নিছকই ফুটনোট হিসেবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)