সাবধান! আর যা-ই করুন, গরমে এই একটি কাজ ভুলেও করবেন না

সাবধান! আর যা-ই করুন, গরমে এই একটি কাজ ভুলেও করবেন না

ভারতে এখন গ্রীষ্মকাল চলছে। প্রতিদিনই সূর্যের তাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। প্রচন্ড তাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এই মূহূর্তেও আশার কথা শোনাতে পারছে না আবহাওয়াবিদরা। কোথাও কোথাও স্থানীয় আবহাওয়ায় পরিবর্তনের দরুন হালকা ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা খানিকটা কমলেও রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। এতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পশু-পাখিদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আকাশ থেকে যেন আগুনের হলকা বইছে। দুই চাকার গাড়ি বা যাঁরা পায়ে হেঁটে নিজেদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন বা প্রতিদিন কাজ করছেন তাঁদের গরম থেকে রক্ষা পেতে মুখ ঢেকে থাকতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে নগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি অতিক্রম করে গিয়েছে।

এই সময় গরম বাড়ায় কোল্ড ড্রিঙ্কের মতো পানীয়ের চাহিদা বেড়েছে। গরমের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। তাই গ্রীষ্মের মরশুমে কীভাবে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া যেতে পারে এবং এই সম্পর্কে চিকিৎসকরা কী বলছেন তা জেনে নেওয়া যাক।

ভিলওয়াড়ার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সি পি গোস্বামীর মতে, এই সময় আবহাওয়া ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। কখনও কখনও বৃষ্টি হওয়ায় গরম কমলেও হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন ও আবার প্রতিদিনের অসহ্য তাপমাত্রা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সবাইকে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এমন অবস্থায় পানীয়ের মধ্যে শুধু লেবুর রস, দই, লস্যি এবং জল পান করা উচিত। প্রত্যেকেরই বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ যতটা সম্ভব সকালে বা সন্ধ্যায় শেষ করা যেতে পারে। খুব প্রয়োজন হলে তবেই ঘর থেকে বের হওয়া উচিত। ডা. সি পি গোস্বামীর মতে, পরিবর্তনশীল ঋতুতে খুব বেশি ঠাণ্ডা জল পান না করাই ভাল, সেই সঙ্গে বাসি খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

ডা. সি পি গোস্বামী আরও জানিয়েছেন যে গ্রীষ্মের মরশুমে প্রায়শই দেখা যায় যে অনেকে গরম থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে কোল্ড ড্রিঙ্কের মতো পানীয় গলায় ঢালেন। কিন্তু এটি আমাদের শরীর ও কিডনির ক্ষতি করে। এর পরিবর্তে, ওআরএস পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শরীরের জন্য খুব উপকারী এবং এতে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং এতে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দূর হয়।

(Feed Source: news18.com)