
এই প্রবল গ্রীষ্মেও কৃষকরা উন্নত চাষ করে লাভ করতে পারেন। মধ্যপ্রদেশে সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের জন্য বিশেষ সহায়তার কথা জানানো হয়েছে। চাষের জন্য উদ্যানপালন দফতর থেকে কৃষকরা শুধু যে পরামর্শই পাবেন, তা নয়। বরং কোনও কোনও ফসল চাষের জন্য ভর্তুকিও পাওয়া যেতে পারে। এই ভর্তুকি প্রতি হেক্টর প্রতি ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে৷ তবে মনে রাখতে হবে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাবেন শুধু সেই সমস্ত কৃষকেরা যাঁদের ০.২৫ হেক্টর থেকে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমি চাষ করে থাকেন।
জানা গিয়েছে, বীজযুক্ত ফসল, কন্দ জাতীয় ফসল, মসলা জাতীয় ফসল চাষের ক্ষেত্রে এই সুযোগ মিলবে। এই ধরনের ফসল চাষে বীজ বপন করার জন্য ১৫ জুন পর্যন্ত সময় রয়েছে। এই সময় জমি প্রস্তুত করে নেওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে সাগর জেলার উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক রবীন্দ্র চৌবে জানান, গ্রীষ্মকালে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা করতে পারেন, এমন কৃষকেরা আদা ও হলুদের চাষ করতে পারেন। এছাড়া করলা, শিম, টম্যাটো, ঢেঁড়স, বেগুনের মতো ফসলও চাষ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়। তবে যাঁদের জমিতে সেচের ব্যবস্থা নেই, তাঁদের তো বর্ষা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। যদিও সময় নষ্ট করার কোনও অর্থ নেই বলেও জানিয়েছেন রবীন্দ্র চৌবে। তিনি জানান, বৃষ্টি নামার আগেই কৃষকরা তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন।
ভর্তুকি পাওয়া যাবে তিন ভাবে—
সরকারের তরফ থেকে যে ভর্তুকি কৃষকদের দেওয়া হবে তা পাওয়া যাবে তিনটি উপায়ে। সাগর জেলা আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে ০.২৫ থেকে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমিতে বীজযুক্ত ফসলের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। যে কোনও কৃষক এর সুবিধা পেতে পারেন। বীজযুক্ত ফসলের জন্য মোট ভর্তুকি পরিমাণ হেক্টর প্রতি ২০ হাজার টাকা। কন্দ জাতীয় ফসলের জন্য, প্রতি হেক্টরে ৫০ হাজার টাকা, এবং মসলা জাতীয় শস্য যেমন ধনে, মরিচ ইত্যাদির ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যেতে পারে।
শিক্ষামূলক ভ্রমণের ব্যবস্থা—
জৈব চাষে উৎসাহ দিতে ভার্মিকম্পোস্ট প্রকল্পের অধীনেও কৃষকদের বিশেষ ভর্তুকি দেওয়া হয়। কেঁচোতে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি কৃষকদেরও ভাল চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় সফরও করানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে কখনও মধ্যপ্রদেশেরই অন্য জেলায়, আবার কখনও ভিন রাজ্য থেকেও চাষের পদ্ধতি শিখে আসতে পারবেন কৃষকরা।