এসএলপি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য

এসএলপি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য

বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। রাজ্যের এসএলপি খারিজ (SLP Dismissed) করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ১৩ জুন প্রথম নির্দেশ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ জুন ফের কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সওয়াল রাজ্যের। এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির কি পরিবর্তন হয়েছে ? প্রশ্ন বিচারপতির।

পঞ্চায়েত নির্বাচন…
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ‘স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে আমরা আগ্রহী নই। তাই কমিশন ও রাজ্যের স্পেশাল লিভ পিটিশন খারিজ করা হল’, রাজ্যের আবেদন খারিজ করে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগরত্ন। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের সওয়াল ছিল, গত ১৩ জুন প্রথম নির্দেশ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ জুন ফের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির কী পরিবর্তন হয়েছে? রাজ্য কমপক্ষে ৫ রাজ্য থেকে পুলিশ চেয়েছে, জানায় রাজ্য। বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তার মানে আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই? তাই আপনারা প্রায় আধ ডজন রাজ্যের কাছে সাহায্য চেয়েছেন?’ এতেই শেষ নয়। বিচারপতির মন্তব্য, ‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়। হিংসা কখনও নির্বাচনের সহযোগী হতে পারে না।’ রাজ্যে ২০১৩, ২০১৮ সালের নির্বাচনে গন্ডগোলের উদাহরণ আছে, আরও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ‘প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারছেন না, জমা করলেও হিংসার সম্মুখীন হচ্ছেন। সংঘর্ষ হচ্ছে’, সংযোজন  বিচারপতির।

প্রেক্ষাপট…
গত ১৭ জুন কলকাতা হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। তার আগে, বৃহস্পতিবার আদালতের বাহিনী-নির্দেশের পরই রাতের দিকে কমিশন ছেড়ে বেরোনোর সময় আদালতের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলার বার্তাই দিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha)। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ১৮০ ডিগ্রি বদল ঘটে যায় অবস্থানে। কালই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এডিজি আইনশৃঙ্খলা ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের পরেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

(Feed Source: abplive.com)