কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election) এবার সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশ। নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। আগামী ৮ জুলাই ভোট। তার আগের দিনের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘যে আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের কাছে এই তদন্তের ভার দেওয়া উচিত হবে না।’
বিডিওর বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়া-১ নম্বর এলাকায় মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। বিডিওর বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়ার দুই সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বিবি, অনুজা বিবির মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র বিকৃত করায় স্ক্রুটিনিতে তাঁদের নাম বাদ পড়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এর পাশাপাশি বিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগও গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে। বিচার চেয়ে বহিরা, ধূমিসামালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম প্রার্থী মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
এদিকে ভোটে লাগাতার হিংসার আবহে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার কড়া পর্যবেক্ষণ, ‘যদি একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত রক্তপাত, হিংসা, সংঘর্ষ হয় তাহলে এই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার।’
হিংসা, হানাহানি, রক্তপাত, মৃত্যুমিছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই এই ছবি রাজ্যজুড়ে। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত দিকে দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১৩ দিনে প্রাণ গিয়েছে ৮ জনের। মনোনয়ন জমা ও প্রতীক দেওয়ার পরেও নাম নেই প্রার্থীদের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ সিপিএম। ভাঙড়ের ১৬-১৭ জন প্রার্থীর নাম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়তে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের।
কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতির : মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে উদ্দেশ করে কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। এদিন তিনি বলেন, ‘যদি আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা হয় যে, প্রার্থীরা সময়ে মনোনয়ন দিতে পারছেন না, তবে সময় তো দিতেই হবে।’ মন্তব্য বিচারপতি অমৃতা সিন্হার। ‘৮টি ব্লকে অশান্তি হয়েছে, বাকি শান্তিপূর্ণ’ সওয়াল করে রাজ্য। ‘১৯৯৯ সালে, ২০০৩ সালে কী হয়েছিল সেকথা বলবেন না। মামলা আসছে মানুষকে মারধর করা হচ্ছে, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এসব কী? প্রশ্ন বিচারপতির।
(Feed Source: abplive.com)