সরকারি টাকার অপব্যবহার! রাজ্যপালের বইয়ের প্রকাশক কেন রাজভবন, তদন্তের দাবি কুণালের

সরকারি টাকার অপব্যবহার! রাজ্যপালের বইয়ের প্রকাশক কেন রাজভবন, তদন্তের দাবি কুণালের

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, একাধিক বিষয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বেধেছে। আরও একবার ফের মুখোমুখি দুই পক্ষ। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) লেখা বই নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল শাসকদল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যপালের লেখা বইয়ের প্রকাশক হিসেবে নাম রয়েছে রাজভবনের (Raj Bhavan)। সেই নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে তারা।

সম্প্রতি রাজ্যপাল বোসের লেখা বই সাইলেন্স সাউন্ডস গুড’ (Silence Sounds Good) নামক বইটির চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে, যার প্রকাশক হিসেবে নাম রয়েছে রাজভবনের। কিন্তু, রাজ্যপালের লেখা বইয়ের প্রকাশক কেন রাজভবন, বইয়ে অশোক স্তম্ভের প্রতীকই বা কেন ব্যবহার করা হয়েছে, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন কুণাল। মঙ্গলবার রাজভবনেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রাজ্যপাল বোসের স্পেশাল সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়ে এ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। কুণালের বক্তব্য, “রাজ্যপালের পদটিকে সম্মান করি। কিন্তু বেনিয়ম হয়েছে। বই বাজারে এসেছে। মুদ্রণ রাজভবনের পাবলিকেশন দেখা যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে অশোক স্তম্ভ। রাজ্যপাল বই লিখলে, প্রকাশক রাজভবন হতে পারে না। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়েছিলেন? এটা তদন্ত হওয়া দরকার।”

বিষয়টি নিয়ে রাজভবনের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। রাজ্যপাল নিজেও কোনও মন্তব্য করেননি। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, রাজভবন প্রকাশক কেন হবে? বইয়ে কেন অশোক চক্র থাকা উচিত নয়…।” এর পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাজ্যপাল। বলেন, “অন্য কোনও প্রশ্ন আছে?”

মাত্র পাঁচ মাস আগে, সরস্বতী পুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলায় প্রতীকী হাতেখড়ি হয়েছিল রাজ্যপালের। রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই বাংলা শিখতে আগ্রহী রাজ্যপালের জন্য সেই আয়োজন হয়। এবার তাঁর লেখা বইয়ের প্রকাশনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা রাজ্যপালই বলতে পারবেন। কুণাল ঘোষ আগেও অনেক কিছু বলেছেন।”

তবে আপাতত পিছু হটছেন না কুণাল। রাজ্যপাল পদ এবং সরকারি টাকর অপব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ তার। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি।

(Feed Source: abplive.com)