দিল্লিতে দোস্তি আর বাংলায় কুস্তি করে TMC-কে সরানো যাবে না, বাম কর্মীদের শুভেন্দু

দিল্লিতে দোস্তি আর বাংলায় কুস্তি করে TMC-কে সরানো যাবে না, বাম কর্মীদের শুভেন্দু

বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠককে মোদীজিকে আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই বৈঠকে সবাই যে যার পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠিত করতে গেছেন। এই বৈঠকের পর বামপন্থীদের গ্রহণযোগ্যতা রাজ্যে আরও কমে যাবে বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পাটনা ও বেঙ্গালুরুর বৈঠকের পর সীতারাম ইয়েচুরি বা প্রকাশ কারাতের ছবি নিয়ে রাজনীতি করলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করবে না। আপনাদের লড়াই, দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তিতে পরিণত হবে। এইভাবে লড়াই করে তৃণমূল নামক জগদ্দল পাথরকে সরানো যাবে না’।

তাঁর দাবি, ‘এই বৈঠকের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এই ধরণের উদ্যোগ লোকসভা নির্বাচন এলে মোদীজিকে আটকানোর জন্য বারে বারে হয়। ২০১৯ সালেও হয়েছে। এখানে যারা যুক্ত হয়েছেন, এরা তাঁদের পরিবারকে রক্ষা করতে চাইছেন। সোনিয়া গান্ধী চাইছে, তার পুত্র ও কন্যার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হোক। শরদ পাওয়ার চাইছে, ভাইপো তো চলে গেছে, মেয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে? ওখানে স্ট্যালিন গেছে নিজের সাম্রাজ্য ধরে রাখার জন্য। ওখানে যারা সমবেত হয়েছে তারা পরিবারবাদকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ও ইডি সিবিআইকে আটকাতে চায়। এদের কোনও লক্ষ্য, উদ্দেশ নেই। এরা কোথাও আঞ্চলিকতাবাদের পক্ষে বলে। কোথাও দেশ বিরোধী কথা বলে, কোথাও সেক্যুলারিজমের নামে সনাতন সংস্কৃতিকে আক্রমণ করে। কোথাও খালিস্তানিদের সঙ্গে হাত মেলায়। আবার কোথাও পাকিস্তান জিন্দাবাদ করে’।

এদিন একই রকম মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধীর দায়িত্ব নিজের ছেলেকে দাঁড় করানো,মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা হচ্ছে ভাইপো কিভাবে দাঁড়াবে? একজনের বেকার ছেলে, একজনের বেকার ভাইপো। এই নিয়ে লড়াই চলছে। বাম – কংগ্রেস একসাথে গিয়ে বসছে। দেখেছেন বামের লোকেরা মার খাচ্ছে।বামেরা তো বিশাল হাইপ তুলেছিল ফেরাতে হাল ফেরাবে লাল। লাল তো কি হয়ে গেল।’

মঙ্গলবার থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হচ্ছে বিরোধী দলগুলির ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য দ্বিতীয় প্রস্তুতি বৈঠক। বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে হাজির হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের আয়োজনে নৈশভোজে তিনি অংশগ্রহণ করেন কি না এখন সেদিকে নজর সবার।

(Feed Source: hindustantimes.com)