দেশের সবচেয়ে উপরে অবস্থিত রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর। সারা বছর খবরের শিরনামে থাকে গুলি-গোলা, যুদ্ধের কারণে। তবে, এবার ব্যতিক্রম। জম্মু ও কাশ্মীরকে এবার সকলের নজর আনার পুরো কৃতিত্ব ১৫-১৬ বছরের এক কিশোরীর।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) আর্থিক অনুদানে সারা দেশব্যাপী একটি ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়াদের মতো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ভুপিন্দর কৌরও।
জম্মু ও কাশ্মীরের একটি ছোট্ট গ্রাম আবতাল। সেই গ্রামেরই একটি সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ভুপিন্দর। ছোট থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে প্রবল আগ্রহ ছিল তার। পড়ুয়ার এই উৎসাহ নজরে আসে স্কুলের শিক্ষিকাদের। শেষমেশ শিক্ষিকার তাগিদেই কর্মসূচির জন্য নাম অন্তর্ভুক্ত করেন ভূপিন্দর। এবং সে নির্বাচিত হয় ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে।
পড়ুয়াদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে কৌতুহল এবং ঝোঁক সৃষ্টির জন্য ২০১৯ সাল থেকে দেরাদুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং থেকে জাতীয়স্তরে এই ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম বা ইয়ুভিকা কর্মসূচি আয়োজন করে।
ভূপিন্দরের কথায়, প্রতি বছরই ইসরো এই কর্মসূচির আয়োজন করে, তা তার জানা ছিল না। স্কুলের শিক্ষিকাই তাকে সাহায্য করেছেন এই কর্মসূচিতে নাম দেওয়ার জন্য। তাই চলতি বছর দেশের ৩৫০ জন পড়ুয়ার মধ্যে সে ও একজন।
অভিজ্ঞতা ব্যপারে বলতে গিয়ে ভূপিন্দর জানিয়েছে যে, মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে তার খুবই আগ্রহ তাই অনেক অজানা বিষয় সে জানতে পেরেছে এই অনুষ্ঠান থেকে। কী কী পদ্ধতিতে একটি রকেট তৈরি করা হয়, কী থাকে সেটায়, কতক্ষণ সময় লাগে তৈরি করতে সেই সব কিছু তথ্য সে জানতে পেরেছে এই অনুষ্ঠান থেকে। ভূপিন্দরের এই সাফল্যে খুশি পরিবার-পরিজন।