নয়াদিল্লি: চাঁদের কক্ষপথে এবার ঢুকেই পড়ল ভারতের চন্দ্রযান-৩। সন্ধে ৭টা বেজে ১২ মিনিটে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে ভারতের মহাকাশযানটি। শনিবার সন্ধেয় জানাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে কী প্রতিক্রিয়া চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের, তা-ও জানিয়েছে ISRO. চন্দ্রযানের বার্তা উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘MOX, ISTRAC, চন্দ্রযান-৩ বলছি। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভব করতে পারছি’। (Chandrayaan 3)
বেঙ্গালুরুতে ISRO-র মিশন অপারেশন কমপ্লেক্স (MOX) থেকে চাঁদের গতিপথে নজর রাখা হচ্ছে। ISRO-র টেলিমিট্রি, ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়র্ক (ISTRACK) তার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সেখানেই বার্তা এসে পৌঁছেছে চন্দ্রযান-৩ থেকে। (Lunar Orbit)
Chandrayaan-3 Mission:
Today’s maneuver has resulted in an orbit of 164 km x 18074 km, as intended. pic.twitter.com/OYiDbh5lXU
— ISRO (@isro) August 5, 2023
ISRO জানিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়তে সফল হয়েছে চন্দ্রযান-৩। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, চাঁদের থেকে দূরত্ব কমিয়ে আনা। ৬ অগাস্ট রাত ১১টা থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে যত চাঁদের মাটির কাছাকাছি পৌঁছবে চন্দ্রযান-৩, ততই গতি কমিয়ে আনা হবে তার। তার পর ধীরে সুস্থে, পালকের মতো চাঁদের বুকে অবতরণ করানো হবে।
Chandrayaan-3 Mission:
“MOX, ISTRAC, this is Chandrayaan-3. I am feeling lunar gravity 🌖”
🙂Chandrayaan-3 has been successfully inserted into the lunar orbit.
A retro-burning at the Perilune was commanded from the Mission Operations Complex (MOX), ISTRAC, Bengaluru.
The next… pic.twitter.com/6T5acwiEGb
— ISRO (@isro) August 5, 2023
আগে থেকেই ৫ অগাস্ট চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটিকে চাঁদের কক্ষপথে ঢোকানোর পরিকল্পনা ছিল ISRO-র। এর পর মোট চার বার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে চন্দ্রযান -৩ মহাকাশযান। প্রত্যেক বার পাক খেতে খেতে চাঁদের মাটির কাছাকাছি পৌঁছবে সেটি। কারণ সরাসরি চাঁদের বুকে পদক্ষেপ সম্ভব নয়। আগামী ২৩ অগাস্ট চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে চাঁদের বুকে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র।
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানে একটি প্রোপালসন মডিউল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে বয়ে নিয়ে চলেছে। চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযানের প্রবেশের পর, তা থেকে আলাদা হয়ে যাবে ‘বিক্রম’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমে অবতরণ করবে সেটি। এই ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কেই পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ানোই এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য। তার পর ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এক চন্দ্রদিবসের জন্য চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে সেটি। এক চন্দ্রদিবস পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১৪ দিন।
তবে চাঁদের বুকে অবতরণের প্রক্রিয়াটিই অত্যন্ত জটিল। অবতরণের আগে সরেজমিনে দেখা হবে মাটির উপরকার পরিস্থিতি। নিরাপদ জায়গা বেছে নেওয়া হবে। এর পর পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। চাঁদের মাটিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে ‘চন্দ্রযান-৩’। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে সফ্টল্যান্ডিংয়ের উপর, যা পৃথিবীতে বসে নিয়ন্ত্রণ করবেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা।
(Feed Source: abplive.com)