এবার বঙ্গ বিজেপিতেও সাংগঠনিক রদবদল, পাল্টে দেওয়া হল ১১ জন জেলা সভাপতিকে

এবার বঙ্গ বিজেপিতেও সাংগঠনিক রদবদল, পাল্টে দেওয়া হল ১১ জন জেলা সভাপতিকে

দীপক ঘোষ, কলকাতা : লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি জাতীয় স্তরে বিজেপি-র (BJP) সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। আর এবার বঙ্গ বিজেপিতেও সাংগঠনিক রদবদল (Organizational Change in Bengal BJP) করা হল। বদল জেলা সংগঠনেও। পাল্টে দেওয়া হল বিজেপির ১১ জন জেলা সভাপতিকে।

কী কী পরিবর্তন হল ?

রাজ্যে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দু’টি পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি হল, এতদিন বিজেপির সাংগঠনির জেলার সংখ্যা ছিল ৪১টি। ২টি সাংগঠনিক জেলা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, এখন মোট সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা হল ৪৩। মুর্শিদাবাদে এতদিন পর্যন্ত ২টি সাংগঠনিক জেলা ছিল- উত্তর মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ। সেটাকে ভেঙে তিনটি করা হয়েছে। যোগ করা হল- জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা। নতুন এই জেলার সভাপতি হয়েছেন ধনঞ্জয় ঘোষ। আর একটি সাংগঠনিক জেলা বাড়ানো হয়েছে। সেটি হচ্ছে- যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা। নতুন এই জেলার সভাপতি হয়েছেন- কুন্তল চৌধুরী।

আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এতদিন এই যে ৪১টি সাংগঠনিক জেলা ছিল, তার মধ্যে ১১ জন জেলা সভাপতির পদে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, মোট ১১ জন জেলা সভাপতিকে পাল্টানো হল।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিধায়কদের মধ্যে মাত্র ২ জনকে এতদিন পর্যন্ত জেলা সভাপতির পদে রাখা হয়েছিল। সেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে সাত করা হল। অর্থাৎ, আরও পাঁচ জন বিধায়ককে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। তাপসী মণ্ডল, অমরনাথ শাখা, অরূপ কুমার দাস ও বিমান ঘোষকে দেওয়া হল জেলা সভাপতির দায়িত্ব।

সম্প্রতি বাংলা থেকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, বাংলায় বিজেপি-র রোডম্যাপ তৈরির জন্য পর পর দু’দিন বৈঠক হয়।

তার পর পরই জাতীয় স্তরে সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির। প্রকাশ করা হয় নতুন তালিকা। তাতে বাদ পড়েন দিলীপ ঘোষ। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। সেই পদ খোয়ান । সংশ্লিষ্ট তালিকায় বাংলা থেকে একমাত্র নাম ছিল অনুপম হাজরার। দলের সচিব হিসাবে নাম ছিল তাঁর। যদিও দিলীপ এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন, “আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন যাঁরা, তাঁদের নাম রাখা হয়নি তালিকায়, যাতে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে মনোনিবেশ করতে পারেন তাঁরা।”

(Feed Source: abplive.com)