করোনাভাইরাসের নয়া রূপ EG.5.1-এর নাম সংক্ষেপে এরিস (Eris) রাখা হয়েছে। জুলাই মাসে প্রথম ব্রিটেনে ধরা পড়ে সেটি। তার পর থেকে যত সময় গিয়েছে, এর প্রভাবে সংক্রমণ বেড়েছে উত্তরোত্তর। ব্রিটেনের হেলথ সিকিওরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সেখানে যত জন সংক্রমিত, তাঁদের প্রতি সাত জনের মধ্যে একজন এরিসে আক্রান্ত। বর্তমানে সেখানে এরিস আক্রান্তের হার ১৪.৬ শতাংশ।
ব্রিটেনের হেলথ সিকিওরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে এরিসের সংক্রমণ আরও দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। আগে এরিস আক্রান্তের হার ছিল ৫.৪ শতাংশ। এখন তা ১৪.৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। গত ৩১ জুলাই সেখানে করোনার নয়া রূপ হিসেবে এরিসের নামে সরকারি সিলমোহর পড়েছে। এশিয়ার দেশ গুলিতেও এরিস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ৩ জুলাই ব্রিটেনে প্রথম বার এরিসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেই সময়ই সতর্কবার্তা এসে পৌঁছয়। কিন্তু তার পরও আটকানো যায়নি বাড়বাড়ন্ত। এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে বহু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ইতিমধ্যেই। বিশেষ করে বয়স্কদের শরীরে করোনার নয়া এই রূপ বেশি করে থাবা বসাচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন সে দেশের গবেষকরা।
করোনার নয়া রূপ এরিসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে এখনও। তাই বিশদ তথ্য না পাওয়া গেলেও, আগের মতোই ঘন ঘন হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট বা জ্বর-সর্দির ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়াবাড়ি হলে হাসপতালে যেতে বলা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে। এরিসের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছে তারা। সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন, টিকাকরণ হয়ে গেলেও একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকা উচিত হবে না। এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে সব দেশকে। মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।
(Feed Source: abplive.com)