ভিন রাজ‍্যের হস্টেলে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু! পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর

ভিন রাজ‍্যের হস্টেলে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু! পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতাঃ ভিন রাজ্যে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। অন্ধ্রপ্রদেশের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত কলকাতার কিশোরী। খুনের অভিযোগে সরব তাঁর পরিবার। মৃত পড়ুয়ার নাম রীতি সাহা। টালিগঞ্জের নেতাজি নগরের রীতি সাহার বাড়ি। আজ, রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা টালিগঞ্জ এলাকার বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করতে যান। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর।

মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ফোনের মাধ্যমেই রীতির বাবা শুকদেব সাহার সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনার তদন্তে ভিন রাজ্যে যাবে সিআইডি টিম। রীতির বাবার কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সাহা পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল ভিন্ন রাজ্যে গিয়েও তদন্ত করবে বলেও রীতির বাবাকে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে আশার আলো দেখছে সাহা পরিবার। নিউজ ১৮ বাংলাকে রীতির বাবা শুকদেব সাহা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমরা আশ্বস্ত। উনি যেভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন তাতে এবার আমরা বিচার পাব, এই আশা রাখছি।’ চলতি বছরের ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজ্যাগে হস্টেলের চারতলার ছাদ থেকে পড়ে ১৬ জুলাই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় রীতি সাহার।

রাজ্যের মন্ত্রী তথা টালিগঞ্জ এলাকার বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস

পরিবারের অভিযোগ যে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁদের সন্তান রীতিকে। ভিন রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগও করেন রীতির বাবা শুকদেববাবু। এই খবরটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছতেই তিনি পরিবারের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজই নেতাজি নগর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

মৃত তরুণীর পরিবারের দাবি, ছোট্ট সদস্যের মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসুক, চাইছেন সবাই। জানা গিয়েছে ওই কিশোরী গত বছর কলকাতার নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে। পেয়েছিল ৯০ শতাংশ নম্বর। স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। তাই ডাক্তারি পড়ার প্রস্তুতি নিতেই অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজ্যাকে যায় সে। ২০২২ সালে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ভাইজ্যাগের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। থাকতে শুরু করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেলে।

জাতীয় স্তরের ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিল। এছাড়াও জিমন্যাস্টিকেও পারদর্শী ছিল সে। সাহা পরিবার বলছে, “আমার মেয়েকে ফেরত পাব না ঠিকই, কিন্তু তার মৃত্যু রহস্যের উৎঘাটন হোক। বিচার চাই।”

(Feed Source: news18.com)