দিঘায় সমুদ্রের ধারে বছরের পর পর বছর ধরে কেউ চা বিক্রি করছেন, কেউ ডাব, কেউ বা মুখরোচক খাবারদাবার। কেউ কেউ আবার বসেন ঝিনুক দিয়ে তৈরি জিনিসের পসরা নিয়ে। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন বহু মানুষ। কিন্তু প্রশাসন পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, দিঘার সমুদ্র সৈকতের পাশের রাস্তায় রাখা যাবে না অস্থায়ী দোকান বা গুমটি। (Purba Medinipur News)
২২ অগাস্টের মধ্যে উঠে যাওয়ার নির্দেশ হকারদের
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্দেশ, পর্যটক যাওয়ার রাস্তা অবরুদ্ধ করে বেআইনিভাবে যাঁরা ব্যবসা করছেন, ২২ অগাস্টের মধ্যে উঠে যেতে হবে তাঁদের সকলকে। অস্থায়ী দোকান বা গুমটি সরিয়ে ফাঁকা করে দিতে হবে সৈকত সংলগ্ন রাস্তা। প্রশাসনের তরফে আচমকা এই উচ্ছেদের নোটিস আসায় মাথায় হাত দিঘার প্রায় ১০ হাজার হকারের।
মাইকিং করে এই নির্দেশ প্রচারও করা হচ্ছে সমুদ্রসৈকত এলাকায়। ব্যবসায় আচমকা এই ধরনের অনিশ্চয়তার অন্ধকার নেমে আসায় আতঙ্কে রয়েছেন হাজার হাজার হকার। সংবাদমাধ্যমে একজন বলেন, “পর্ষদ এভাবে উচ্ছেদ করলে, না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।” সংসার চালাবেন কী করে, বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।
পর্যটকরা সমস্যায় পড়ছিলেন, তাঁদের সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত, দাবি প্রশাসনের
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, পর্যটকদের সৈকতে যাওয়ার জন্য যে রাস্তা রয়েছে, তা অস্থায়ী দোকান বসায় অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তাতে পর্যটকরা সমস্যায় পড়ছিলেন। তাঁদের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। না মানলে অমান্যকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
এর আগে, আগাম নোটিস এবং ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জমি দখল করে দিঘায় মেরিন ড্রাইভ তৈরির অভিযোগ ওঠে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা DSDA-র তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে মেরিন ড্রাইভ, তা ধরে দিঘা থেকে দিঘা মোহনা যাওয়ার পথে পড়ে গঙ্গাধরপুর মৌজা। সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ তোলেন যে, তাঁদের অন্ধকারে রেখে, বিনা নোটিসে জমি দখল করে তার ওপর পিচ রাস্তা বানানো হয়েছে। সেই নিয়ে মার্চ মাসেই তেতে উঠেছিল পরিস্থিতি।
(Feed Source: abplive.com)