মুহূর্তে উধাও পোশাক-মোবাইল-টাকা! চোরের উপদ্রবে সন্ত্রস্ত মেডিক্যালের রোগী পরিবার

মুহূর্তে উধাও পোশাক-মোবাইল-টাকা! চোরের উপদ্রবে সন্ত্রস্ত মেডিক্যালের রোগী পরিবার

কলকাতাঃ মাথার কাছে মোবাইল কিংবা টাকার ব্যাগ যাই থাক, মুহূর্তের মধ্যে উধাও। নিত্যদিনের এই সমস্যায় জেরবার কলকাতার নামী হাসপাতাল গুলিতে আসা রোগীর পরিবারের আত্মীয়-পরিজনেরা। তাদের দাবি, জামা কাপড়ের ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট থেকে কৌটো, টাকা-পয়সা সবই গায়েব হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুই নিমেষে চুরি হয়ে যাচ্ছে। পুলিশে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়না।

গ্রাম থেকে আসা প্রান্তিক মানুষজন সর্বশান্ত হচ্ছেন। আশরাফ আলি হাওড়ার আমতা থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিজের সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। সেখানে শিশু বিভাগ তাঁর ছেলে ভর্তি। ফলে হাসপাতালের নিচে কোনওরকম ভাবে অন্যান্য রোগীর পরিবারের সঙ্গে তিনিও দিনরাত থাকছেন।

আশরাফ আলির অভিযোগ, ২২ অগাস্ট ভোরে একটু চোখের পাতা লেগে গিয়েছিল। তার মধ্যেই ব্যাগে থাকা চারটি মোবাইল, জামা-কাপড়, টাকা সব কিছুই চুরি হয়ে যায়। তারপর বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। মোবাইল বা জামা-কাপড় কিছুই ফিরে পাননি তিনি। চোরও ধরতে পারেনি পুলিশ। শুধু আশরাফ আলি নন, বীরভূম থেকে এক দম্পতি এসেছেন ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে। তিন নম্বর গেটের সামনে স্বামীর কেমো দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছিলেন। সেই সুযোগে তাঁর ব্যাগ সমেত মোবাইল, জামাকাপড় সব চুরি হয়ে যায়।

চুরি প্রতিদিনই হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে সিসি ক্যামেরায় ঢাকা রয়েছে, তবুও চুরি চলছে। রোগীর আত্মীয়দের বক্তব্য, যারা চোর তাঁরা রোগীর বাড়ির আত্মীয় কিংবা রোগী সেজে ওখানে মিশে থাকছে। আর সেই সুযোগ বুঝে যখনই ক্লান্ত হয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন কেউ, সেই ফাঁকেই চুরি করে পালাচ্ছে চোরেরা। রোগীর বাড়ির লোক কিংবা রোগী সেজে অপরাধীরা মাসের অধিকাংশ দিন হাসপাতাল চত্বরে তারা পড়ে থাকে। সুযোগ বুঝেই চুরি করে পালাচ্ছে।

এ দিকে, ইতিমধ্যে বউবাজার থানায় এই ধরনের প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু অপরাধী ধরা পড়েছে। তবে নিত্যনতুন চোরের উপদ্রব হওয়ার নির্দিষ্টভাবে তাঁদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

(Feed Source: news18.com)