অক্ষয়ের সঙ্গে বিয়ের আগে ২ বছর সহবাসের পরামর্শ দিয়েছিলেন মা ডিম্পল কাপাডিয়া। সম্প্রতি একথাই খোলসা করেছেন অক্ষয়পত্নী টুইঙ্কল। প্রসঙ্গত, ডিম্পল কাপাডিয়া রাজেশ খান্নার থেকে আলাদা হওয়ার পর টুইঙ্কল মূলত মায়ের ছত্র ছায়াতেই বেড়ে ওঠেন। একা হাতে মেয়েকে বড় করার জন্য ডিম্পল মেয়ে টুইঙ্কলকে নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন থাকতেন। অক্ষয় কুমার যখন ডিম্পলকে জানিয়েছিলেন, যে তিনি তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে চান। তখন ডিম্পল ঠিক কী উত্তর দিয়েছিলেন, সেকথা খোলসা করেছেন টুইঙ্কল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কল খান্না বলেন, ‘যখন আমার স্বামী অক্ষয় মাকে গিয়ে বলেন, যে তিনি আমাকে বিয়ে করতে চান, তখন আমার মা বলেছিলেন, এখনই বিয়ের দরকার নেই, তোমরা আগে দুই বছর একসঙ্গে থেকে দেখো। যদি থাকতে পারো, তখন বিয়ে করো।’
টুইঙ্কল খান্না বলেন, তাঁর মা ডিম্পল কাপাডিয়াকে বলতেন, তিনিও বিয়ে করেছিলেন। দেখেছেন রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন মসৃণ ছিল না, ছিল পাথরে ভরা। টুইঙ্কলের কথায়, মা প্রায়শই ভাবতেন, যে আমার জীবন কীভাবে পরিণত হবে! যদি আমি এমন একটা পরিবারে বড় হতাম যেখানে আমার বাবা-মা একসঙ্গে থাকেন। এসব নানান কথা ভাবতে থাকতেন। টুইঙ্কল বলেন, আমি বলতাম, যে আমার বাবা-মা একসঙ্গে থাকলে আমি কি সত্যিই কোনও কাজ করতাম! হয়ত কিছুই করতে চাইতাম না! টুইঙ্কল খান্না জানান, তাঁর মা তাঁকে একাহাতে বড় করলেও জীবনের সমস্ত ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করতেন।
টুইঙ্কলের কথায়, যেহেতু তিনি এমন একটা বাড়িতে বড় হয়েছেন, যেখানে কোনও পুরুষ নেই, তাই তাঁর একটা সুবিধা হয়েছে। তিনি পিতৃতন্ত্রের প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত ছিলেন। টুইঙ্কল বলেন, ‘আমি মূলত আমার মায়ের কাছে বড় হয়েছি। তাউ আমি দীর্ঘ সময় জানতামই না যে পিতৃতন্ত্র বা পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলে কিছু বিদ্যমান আছে, কারণ আমি মাকে ঘিরেই বড় হয়েছি।
(Feed Source: hindustantimes.com)