এই দোকানের কাঁচাগোল্লা ভালবাসতেন উত্তমকুমার! ভিড় বছরভর, পুজোর আগে তুঙ্গে বিক্রি

এই দোকানের কাঁচাগোল্লা ভালবাসতেন উত্তমকুমার! ভিড় বছরভর, পুজোর আগে তুঙ্গে বিক্রি

বসিরহাট: পুজোর আগে বিক্রি বাড়ে বসিরহাটের ভেবিয়ার কাঁচাগোল্লার। ভোজন প্রিয় বাঙালির সব সময়ের পছন্দর তালিকায় থাকে মিষ্টি। কিন্তু সেই মিষ্টি যদি হয় কাঁচাগোল্লা তাহলে তো আর কথাই নেই! কাঁচাগোল্লা আসলে সন্দেশ। কিন্তু এ তো গোল নয় তবুও এর নাম কাঁচাগোল্লা! এর প্রশ্নোত্তরে এক মিষ্টি প্রস্তুতকারক জানান, কাঁচা ছানা থেকে তৈরি হয় এই সন্দেশ সেজন্য এমনই নামকরণ।

কাঁচাগোল্লার স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বহুবার ঘুরে ঘুরে আসেন ভেবিয়ার এই দোকানে। সাধারণত কাঁচাগোল্লা নলের গুড়ের রস দিয়ে তৈরি হলেও, বসিরহাটের ভেবিয়ায় তৈরি কাঁচাগোল্লা গরুর দুধ দিয়ে সারা বছর তৈরি হয়। এর ফলে সারা বছরই পাওয়া যায় কাঁচাগোল্লার স্বাদ।

বসিরহাটের ভেবিয়ার কাঁচাগোল্লার স্বাদে বাজারের সন্দেশের তুলনায় কম মিষ্টি ও বেশ সুস্বাদ। ৭০ থেকে ৮০ বছরের পুরাতন এই দোকান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ কেজি কাঁচাগোল্লা বিক্রি হয়। তবে দুর্গা পুজোয় বরাবরই বাড়ে এই কাঁচাগোল্লার বিক্রি। অনেক সময়  কাঁচাগোল্লার জন্য লাইনও পড়ে যায়।

জানা গিয়েছে, মহানায়ক উত্তম কুমার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালিতে ‘অমানুষ’ ছবির শ্যুটিং করতে এসে এই কাঁচাগোল্লার প্রেমে পড়েছিলেন৷ যে ক’দিন শ্যুটিং চলেছিল, সেই ক’দিন মোটামুটি রোজই বসিরহাট থেকে সন্দেশখালিতে কাঁচাগোল্লা নিয়ে যাওয়া হত ৷ বর্তমান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এলাকার মিষ্টির দোকানের কারিগররা কাঁচাগোল্লা তৈরি করতেন৷ তারপর সেখান থেকে কিছু কারিগর এখানে আসে। মূলত তাঁদের হাত ধরেই বসিরহাটের কাঁচাগোল্লার নামডাক৷

মিষ্টি বিক্রেতারা দুধ সংগ্রহ করেন এলাকা থেকেই৷ তা থেকে ছানা বানিয়ে নেন ৷ বসিরহাটের যে সব লোকজন কাজের জন্য বাইরে থাকেন, তাঁরা ঘরে ফিরেই খোঁজ করেন কাঁচাগোল্লার৷ আবার কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে গেলেও উপহার হিসেবে কাঁচাগোল্লা নিতে ভোলেন না বসিরহাটবাসী।

(Feed Source: news18.com)