তবু বিশ্বকাপ (ODI World Cup) স্পর্শ করার সুযোগ হয়নি সৌরভের। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কাপ ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। তার আট বছর পরে, ২০১১ সালে দেশের মাটিতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই ধোনি, যাঁর অভিষেক অধিনায়ক সৌরভের অধীনে। কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কার প্রবাদপ্রতিম স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন কলকাতায় এসে বলে গিয়েছেন যে, সৌরভের তৈরি দল নিয়েই বিশ্বসেরা হয়েছিলেন ধোনি। তিনি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও কি তাই বিশ্বাস করেন?
বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়িতে বিশ্বকাপ আড্ডার ফাঁকে সৌরভকে যখন প্রশ্নটা করা হল, মুচকে হাসলেন। বাড়ির ড্রয়িংরুমের চারপাশ ঝলমল করছে ট্রফি আর স্মারকে। যেগুলো থেকে ম ম করছে সৌরভের ক্রিকেটীয় কীর্তির সুবাস। সৌরভ বললেন, ‘নিজের সময় সকলেরই কিছু ভূমিকা থাকে। সেই সময় আমার দায়িত্ব ছিল ভারতীয় ক্রিকেটকে তুলে ধরার। যাতে সব জায়গায় ভারত ভাল খেলে। বিশ্বের সর্বত্র ভাল খেলে, সেটা দেখা। সারা পৃথিবীতে ভাল খেলেওছে। বছরের পর বছর।’
তবে উত্তরসূরির কৃতিত্বে ভাগ বসাতে নারাজ দাদা। সাবলীল কণ্ঠে বললেন, ‘ধোনির সময় এসেছে। দলটাকে নিয়ে এগিয়েছে, জিতেছে। সমান কৃতিত্ব প্রাপ্য ধোনিরও। না হলে তো এমনি এমনি বিশ্বকাপ জেতা হয় না। দল তৈরি করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার সময় সেই দলে প্রচুর ভাল ভাল প্লেয়ার ছিল। সেজন্যই আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এইসব জায়গায় গিয়ে আমরা দাপট দেখিয়েছি। বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলেছি। একবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমাদের জেতা ম্যাচ। বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়।’ যোগ করলেন, ‘প্রচুর ভাল ভাল পারফরম্যান্স রয়েছে ওই সময়। যে দলে তেন্ডুলকর, দ্রাবিড়, সহবাগের মতো ব্যাটার থাকে, লক্ষণের মতো ব্যাটসম্যান থাকে, তারা তো ভাল খেলবেই।’
তারপরই ক্যাপ্টেন কুলের জন্য ঝরে পড়ল প্রশংসা। সৌরভ বললেন, ‘ধোনির আরও বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্য। কারণ ও দলটাকে নিয়ে গিয়ে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমরা ২০০৩ সালে ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছি। ধোনি ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেছে।’
নিজের বায়োপিক ৮০০-র প্রচারে কলকাতায় এসে সৌরভকে পাশে বসিয়ে মুরলীধরন বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় ভাগ্যেরও। আপনার কি কখনও আক্ষেপ হয় যে, ভাগ্য একটু সঙ্গ দিলে হয়তো ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন?
সৌরভ এবার নির্লিপ্ত। বললেন, ‘জানি না, ২০০৩ অনেক দিন আগের কথা। আমার সেই নিয়ে আর কোনও মাথাব্যথা নেই। গোটা বিশ্বকাপে দল ভাল খেলেছিল, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার দেখুন:
সিএবি প্রেসিডেন্ট দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ইডেনে বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটিতে রাখা হয়েছে আপনাকে। কী পরামর্শ দিলেন সিএবি কর্তাদের? সৌরভ বলছেন, ‘আমি খুব একটা যাই না। খুব একটা সময় দিতে পারি না। ব্যস্ত থাকি। তবে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। মাঠ তৈরি। স্টেডিয়াম তৈরি। দল আসবে, খেলবে, কোনও অসুবিধা নেই।’
(Feed Source: abplive.com)