গত ৭ অক্টোবর, হামাসের হঠাৎ হামলার পর থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আর আজ চোদ্দোতম দিন। প্যালেস্তাইনের দাবি, এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের জবাবি হামলায় গাজা স্ট্রিপে ৪ হাজার ১২৭ জন মারা গিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৬০০-র বেশি শিশু। জখমের সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে মারা গিয়েছেন ৮১ জন। ইজরায়েলের তরফেও নিহতের সংখ্য়া নেহাত কম নয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে, বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর প্রশাসন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, হাজার হাজার নাগরিককে পণবন্দি করেছে হামাস। তবে যুদ্ধের চোদ্দোতম দিনে এসে আইডিএফ জানাচ্ছে, পণবন্দির সংখ্যা সম্ভবত ১০০-২০০-র মধ্যে। এঁদের বেশিরভাগ বেঁচেও রয়েছেন, দাবি আইডিএফের। কবে এঁদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে? কবেই বা শেষ হবে যুদ্ধ? এখনও উত্তর নেই। কিন্তু ইজরায়েল যে ভাবে গাজা অবরোধ করে রেখেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাড়ছে।এমনকি মিশর-সহ পশ্চিম এশিয়ার আরও দেশে এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা স্পষ্ট। এসবের মধ্যে, গাজার ত্রাণের জন্য একমাত্র ভরসা, রাফাহ ক্রসিং নিয়েও চিন্তার মেঘ জমছে। এদিন এই ক্রসিং দিয়েই মিশরে ত্রাণ প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু সম্ভবত, এই ত্রাণ পৌঁছতে আরও একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ যন্ত্রণা সামান্য কমতে নিদেনপক্ষে আরও একটি দিন অপেক্ষা করতে হবে গাজার বাসিন্দাদের। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত সংগঠনের হাই কমিশনারের মতে, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে যে রকম সামরিক হামলা চলছে সেটুকুও জারি থাকলে ওই একচিলতে ভূখণ্ড কার্যত ধ্বংস হয়ে যাবে।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে এখন আন্তর্জাতিক মহল একপ্রকার আড়াআড়ি বিভক্ত। মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার বার্তা দিয়েও ইজরায়েলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইজরায়েল ও ইউক্রেনকে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অনুদান দিতে কংগ্রেসের কাছে দরবার করছেন বলে খবর। অন্য দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস সতর্ক করেছেন, গাজায় ত্রাণে দেরি মানে আরও বহু মানুষের ভোগান্তি। এই লড়াইয়ের শেষ কোথায়?
(Feed Source: abplive.com)