
আর সেই ভিড় দেখেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর (Shamik Bhattacharya) মন্তব্য, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ভিড়ই বলে দেয় রাম আছেন আমাদের অন্তরে। এটা তারই প্রতিফলন। আর ভোটের ফলে আমরা পিছিয়ে পড়ি। তার কারণ প্রশাসনের অসহযোগিতা। এসডিও, বিডিও-রা আছেন। তাঁদের জন্যই পিছিয়ে পড়া।
প্রসঙ্গত, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্যোক্তা বিজেপি (BJP) নেতা সজল ঘোষ। একমাত্র তাঁর পুজো উদ্বোধন করতেই দিল্লি থেকে কলকাতা উড়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা (Home Minister)। যারপর থেকেই যে পুজো ঘিরে তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির শীর্ষনেতা ও পুজোর থিমে রামমন্দির নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)।
যেদিন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বলে পরিচিত, উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজো উদ্বোধনে এসে ঘুরিয়ে রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে গেছিলেন অমিত শাহ। তার পরের দিনই জবাব দিয়েছিলেন কলকাতা উত্তরেরই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর খোঁচা, ‘কালকে যেটা উদ্বোধন করেছেন রামমন্দিরটা, ওটা ১৫ দিন পর এমনিতেই বিসর্জন হয়ে যাবে।’
পুজো উদ্বোধন করার সময় অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘জানুয়ারিতে রামমন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার আগেই উত্তর কলকাতার মণ্ডপে রামমন্দিরের উদ্বোধন করে দিলেন কলকাতাবাসীরা। এর জন্য় তাঁদের অভিনন্দন জানাব।’ আর এদিন পাল্টা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচা, ‘তিনি এসে বললেন, জানুয়ারি মাসে রামমন্দির হবে। আর আমি যে পার্কে এসেছি সেই পার্কে রামমন্দির আমি উদ্বোধন করে গেলাম। কালকে যেটা উদ্বোধন করেছেন রামমন্দিরটা, ওটা ১৫ দিন পর এমনিতেই বিসর্জন হয়ে যাবে কালের নিয়মে। কতদিন থাকবে ? ও তো বিসর্জন দিতে হবে। আর তোমার দলকে বিসর্জন ২০২৪-এ দেব। ওটার অপেক্ষা কর।’
(Feed Source: abplive.com)