প্রভাস মানে ব্যর্থতা থেকে ‘অ্যাকশন-প্যাকড কামব্যাক’? নায়কের ৪৪তম জন্মদিনে ফিরে দেখা…

প্রভাস মানে ব্যর্থতা থেকে ‘অ্যাকশন-প্যাকড কামব্যাক’? নায়কের ৪৪তম জন্মদিনে ফিরে দেখা…

কলকাতা: পর্দায় তিনি অসাধ্য সাধন করেন। আর তাঁর ছবির ‘বক্স অফিস কালেকশন’ চোখ কপালে তুলে দেয় ভারত তথা পুরো দুনিয়ার। আজ সেই ‘বাহুবলী’ থুরি প্রভাসের (Actor Prabhas Birthday) ৪৪তম জন্মদিন। বহু ভক্তের আন্তরিক ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তেই টের পান এই তেলুগু অভিনেতা। তবে আজকের দিনটা তো ‘স্পেশ্য়াল।’ হাজার হোক, ‘বাহুবলী’-র অভিনেতার জন্মদিন বলে কথা। তবে যাঁকে নিয়ে এত মাতামাতি, সেই প্রভাস অবশ্য একবার বলেছিলেন, ‘স্টারডম হ্যান্ডেল করতে পারি না। সাক্ষাৎকার দিতে গেলে ভয় করে।’

দু-চার কথা…
১৯৭৯ সালের ২৪ অক্টোবর চলচ্চিত্র প্রযোজক উপ্পলপতি সূর্য নারায়ণ রাজু এবং শিব কুমারির কোলে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে পুত্রসন্তান। নাম, উপ্পলপতি ভেঙ্কট সূর্য নারায়ণ প্রভাস রাজু।  সেখান থেকে আজকের প্রভাস হয়ে ওঠার গল্পটা নিয়েও ছোটখাটো কাহিনিচিত্র হয়ে যেতে পারে। ২০০২ সালে জয়ন্ত সি পরাঞ্জির অ্যাকশন ফিল্ম Eeswar-এ মুখ্যচরিত্রে অভিনয় দিয়ে বিনোদনজগতে এসেছিলেন প্রভাস। কিন্তু সেখানে তাঁর পারফরম্যান্স আলাদা করে কোনও রকম দাগ তো কাটেনিই, উপরন্তু প্রভাসের আদৌ কোনও অভিনয়-প্রতিভা রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সেটি। কিন্তু যিনি ভবিষ্যতে ‘বাহুবলী’ হবেন, তাঁর তো এত সহজে লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ার কথা ছিল না। ছাড়েননিও। ফল? পরের ছবি থেকে কিছুটা হলেও বদলাতে থাকে পরিস্থিতি।
‘রাঘবেন্দ্র’ ছবিতে শ্রী রাঘবেন্দ্র স্বামীর চরিত্র রূপায়ণে মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করেন প্রভাস। মারকাটারি অ্যাকশন সিকোয়েন্স, সঙ্গে তাঁর লম্বা, পেশিবহুল চেহারা–সব মিলিয়ে দর্শকের নজর কাড়ে। কিন্তু তিনি যে অভিনেতাও কম ভাল নন, সেটা বোঝানো তখনও বাকি ছিল।

অতঃ পর…
২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘বর্ষম’। সেখানে অভিনয়ে সাবলীল, নাচেও স্বচ্ছন্দ প্রভাসকে দেখতে পান দর্শকরা। রোমান্টিক অ্যাকশন ফিল্ম ‘বর্ষম’ তুমুল হিট হয়েছিল। অক্সিজেন পেয়ে যায় অভিনেতার কেরিয়ার। গল্পটা এই পর্যন্ত শুনলে মনে হবে, মোটের উপর মসৃণ সাফল্যের দলিল। তা নয়। কারণ, এর পর, দু-টি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু ব্যর্থতা মানে যে নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়া, সেটা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন তেলুগু অভিনেতা। এবার এস এস রাজামৌলির সঙ্গে যুগলবন্দি করে অভিনয় করলেন ‘ছত্রপতি ‘(২০০৫) ছবিতে। অনেকে মনে করেন, এটিই প্রভাসের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। ধীরে ধীরে অভিনয়ের নানা ক্ষেত্রে নিজেকে নানা ভাবে আবিষ্কার করতে শুরু করেন তিনি। তবে ২০০৭-০৮ পর্যন্ত মূলত অ্যাকশন ছবিতেই কাজ করতেন অভিনেতা। ২০০৯ সালে ‘ডন’ ছবির ‘রিমেক’ ‘বিললা’-তে অভিনয় করে দুরন্ত প্রশংসা কুড়োন। এর পরই প্রভাসের নামের পাশে ‘ইয়ং রেবেল স্টার’ আখ্যা বসে যায়। যদিও প্রভাস নিজে এই আখ্যা পছন্দ করতেন না বলেই শোনা যায়।
এত খ্যাতি-জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও বহু সময় পর্যন্ত মূলত দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়া পর্যন্তই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ ছিল। সেই গন্ডি ভেঙে দেয় ‘বাহুবলী।’ অমরেন্দ্র এবং মহেন্দ্র বাহুবলীর চরিত্রে প্রভাসের অভিনয়, অ্যাকশন, রোম্য়ান্স সবটাই বিপুল জনপ্রিয় হয়। পর্দার ওই চরিত্রগুলি একরকম ‘অমরত্ব’ মানুষের মনে। বক্স অফিসেও তার প্রতিফলন স্পষ্ট। যদিও সমালোচকেরা জানান, এর সিংহভাগ কৃতিত্ব পরিচালক এস এস রাজামৌলির।
তবে  ‘বাহুবলী’-র খ্যাতি যে প্রভাসের জন্য অনেক গণ্ডি ভেঙে দিয়েছিল তা স্পষ্ট। পর পর তিনটি ছবি, ‘সাহো’, ‘আদিপুরুষ’, ‘রাধেশ্যাম’ তিনটি ছবিতে কাজ করেন তিনি। এখানেও আবার ট্যুইস্ট। ছবি তিনটির একটাও হিট হয়নি। কিন্তু প্রভাস তো থেমে থাকার মানুষ নন। তাই এবার প্রস্তুতি চলছে ‘সালার’ নিয়ে। ভক্তরা নিশ্চিত, ফের অ্যাকশনে ভরপুর ‘কামব্যাক’ হবে তারকার।

(Feed Source: abplive.com)